‘থানার একেকটি ইট খুলে নেয়া হবে’

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:৪৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় ঢুকে প্রতিটি ইট খুলে নেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের স্থানীয় কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি জেলার পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন। তবে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এখনও।

কসবা থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী থানায় আসেন। তারা প্রধান ফটকে লাথি মেরে ভেতরে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজনের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে এই থানা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার  হুমকিও দেয় তারা।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে কসবা রেলস্টেশনে নূরে আলম ও সবুজ নামে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে তারা। পরে রাত দশটার পর ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্রলীগ কর্মী থানায় আসে। তারা তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার টেবিল চাপড়ে তার সঙ্গে উচ্চবাচ্য করে।

জানতে চাইলে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তারা থানায় ঢুকে আমাকে হুমকি দিয়েছে। তারা বলেছে, থানার একটি ইটও রাখা হবে না, একেকটি করে সবগুলো খুলে নেওয়া হবে।’

হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি-জানতে চাইলে কসবা থানার ওসি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ ঘটনাটি তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানকে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে পুলিশ সুপারের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘ওসি আমাকে বলেছেন, ছাত্রলীগের পোলাপানের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে।’

পুলিশ জানায়, গত ২৬ মার্চ থেকে সীমান্তবর্তী কসবায় মাদক নির্মূলে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। অন্তত ২৫ টি নম্বরহীন বা কাগজে ত্রুটিপূর্ণ মোটসাইকেল আটক করা হয়। অভিযানে অর্ধশত মাদকসেবক ও বিক্রেতাকেও ধরা হয়।

ওসি বলেন, ‘নম্বরবিহীন মটরসাইকেল কেন ধরা হচ্ছে বলে তারা বেশ কিছুদিন ধরে আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। আজ এসে সেটারই প্রকাশ ঘটিয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনির হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

ঢাকাটাইমস/০১এপ্রিল/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি