‘ঘোষণা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো কেন অবৈধ নয়’
সরকারি চাকরিতে যোগদানের সময় মুক্তিযোদ্ধার কথা জানাননি এমন ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরির মেয়াদ বাড়ানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কোন ক্ষমতাবলে এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালাসহ পাঁচজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। মুক্তিযোদ্ধা এসএ মালেক ও প্রজন্মলীগ নেতা মো. খালিদ হোসেনের করা রিট আবেদনে এ রুল জারি করা হয়। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু, ব্যারিস্টার গালিব হামিদ ও ব্যারিস্টার তানজিব রশিদ খান।
রিট আবেদনে বলা হয়, চাকরিতে যোগদানের সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ না করলেও পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছেন এমন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট একটি নির্দেশা জারি করে। এ নির্দেশনায় চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ সুবিধা দ্রুত বাতিল করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। এ নির্দেশনার পর দেখা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৪১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দেননি, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছেন এবং সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। এ অবস্থায় ওই ৪১ কর্মকর্তা-কর্মচারির চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সুবিধা ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট বাতিল করা হয়। কিন্তু শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর ক্ষেত্রে ওই নির্দেশনা কার্যকর করা হয়নি। প্রধান প্রকৌশলী চাকরিতে যোগদানের সময় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে ঘোষনা দেননি। তবে ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তার চাকরির মেয়াদ বাড়ায়। যা অগ্রহণযোগ্য ও বাতিলযোগ্য।
(ঢাকাটাইমস/০২এপ্রিল/এমএবি/জেবি)