বর্ধিত ভূমি কর আদায়ে বাধা কাটল
বর্ধিত হারে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ওপর হাইকোর্টের এক বছরের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। এর ফলে বর্ধিত হারে কর আদায়ে বাধা কাটল।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে বর্ধিত হারে কর আদায়ের ওপর এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেন বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০১৫ সালের ৩০ জুন ভূমি মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করে। বর্ধিত হারে ওই কর ওই বছরের ১ জুলাই থেকে নেওয়ার কথা। এ অবস্থায় এভাবে কর নির্ধারণ করার সুযোগ নেই দাবি করে বরিশালের দেওয়ান আবদুর রশিদ হাইকোর্টে একটি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ আগস্ট আদালত রুল দেন। রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বর্ধিত হারে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য নোটিশ দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে এই কার্যক্রমের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সম্পূরক আবেদনটি করেন রিট আবেদনকারী।
হাইকোর্টে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
হাইকোর্টের আদেশের পর জ্যোর্তিময় বড়ুয়া জানান, ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর ৩ ধারার (১) (এ) তে বলা হয়েছে-সরকার অফিসিয়াল গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর পুনর্বিবেচনা, বর্ধিত কিংবা হ্রাস করতে পারবে। কিন্তু সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদের আইন বা কর্তৃত্ব ছাড়া কোনো কর আরোপ করা যাবে না। অথচ ২০১৫ সালের ৩০ জুন ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর ৩ ধারার (১) (এ) অনুসারে ভূমি উন্নয়ন কর বাড়িয়ে গেজেট জারি করেন তৎকালীন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। কর হ্রাস-বৃদ্ধিতে সরকারের এ ক্ষমতা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
(ঢাকাটাইমস/০৩ এপ্রিল/এমএবি/জেডএ)