আ.লীগ আর আমরা মিলেমিশে দেশ চালাব: এরশাদ

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:২০ | প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:১৫
ফাইল ছবি

সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আগামীতে তার দল এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মিলেমিশেই দেশ চালাবে। তার দাবি, এতে দেশে কোন সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না, থাকবে ভালোবাসা এবং দেশ এগিয়ে চলবে উন্নতির দিকে।

সোমবার দুপুরে মাদারীপুরে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এই কথা বলেন।

১৯৮১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর নানা ঘটনাপ্রবাহ শেষে ক্ষমতা দখল করেন সে সময়ের সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নয় বছর পর ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এরশাদ। ওই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

এরশাদের পতনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো এই স্বৈরশাসকের কোনো সহযোগীকে দলে না নিতে লিখিত অঙ্গীকার প্রকাশ করে। কিন্তু এরশাদের পতনের পর বিএনপিতে যোগ দেন জাতীয় পার্টির অনেক নেতা। পরে আওয়ামী লীগেরও ভেড়েন অনেকেই।

২০০০ সালে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ আন্দোলন করতে গিয়ে এরশাদকেও জোটে ভেড়ায় বিএনপি তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি জোট ছাড়লেও দলের এক অংশ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি নামে জোটে থেকে যায়।

আবার ২০০৭ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ এরশাদের জাতীয় পার্টিসহ বেশ কিছু দলকে নিয়ে মহাজোট গঠন করে। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এই জোট ভেঙে যায় এবং বিএনপি ও জামায়াতের বর্জনের মুখে জাতীয় পার্টি আলাদা নির্বাচন করে সংসদে বিরোধী দল হয়।

আবার বিরোধী দলে থাকলেও জাতীয় পার্টির একজন মন্ত্রী ও দুই জন প্রতিমন্ত্রী আছে মন্ত্রিসভায়। তারা সরকার থেকে বের হয়ে আসবেন-এরশাদ একাধিকবার এই ঘোষণা দিলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এরশাদ জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। তার দাবি, জনগণ তার দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। এই অবস্থায় মাদারীপুরে এরশাদ বলেন, ‘আমরা অন্য কোন দলে জড়াতে চাই না। আমরা চাই, আওয়ামী লীগ আর আমরা মিলে দেশ চালাবো। তাতে কোন সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না, থাকবে ভালোবাসা এবং দেশ এগিয়ে চলবে উন্নতির দিকে।’

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে সামরিক চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে প্রচারের বিসয়ে জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এমন কোন চুক্তি করবে না, যা দেশের জন্য সম্মানহানিকর।’

আগামী সংসদ নির্বাচন সর্ম্পকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দল গুছিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

পরে এরশাদ পূর্ব কলাগাছিয়া সুরেন্দ্রনাথ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ, সহকারী পুলিশ সুপার সুমন দেব, হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা নকুল কুমার বিশ্বাস, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রুবেল খান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে এরশাদ নকুল কুমার সাহিত্য সংগীত একাডেমি উদ্বোধন করেন।

ঢাকাটাইমস/০৩এপ্রিল/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :