মেয়র মীরুর বাড়িতে হামলায় ২১৭ জনের নামে মামলা

রানা আহমেদ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ০৪ এপ্রিল ২০১৭, ২১:০০

কারাগারে আটক শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মীরুর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে হালিমুল হক মীরুর স্ত্রী লুৎফুন নেছা পিয়ারী বাদী হয়ে শাহজাদপুর উপজেলা আমলি আদালতে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৪ ধারায় মামলাটি করেন।

শুনানি শেষে বিচারক হাসিবুল হক মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শাহজাহাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রফিক সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, মীরুর স্ত্রীর করা মামলা বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। তবে এজাহারের কপি হাতে পাননি।

মামলার আসামিরা হলেন শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি মো. আব্দুর রহিম, পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র নাসির উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবে ওয়াহিদ শেখ কাজল, যুবলীগ নেতা আশিকুল হক দিনার, ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ, সোহেল, জাহান, জীবন, রাসেল, এরশাদ, তরিকুল, শাহ আলম, আল মাহমুদ, বিপ্লব, আল আমিন, রনি ও সেলিম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মীরুর সঙ্গে নির্বাচনে পরাজিত হন শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মো. আব্দুর রহিম। তিনি পরাজিত হয়ে মেয়র মীরুকে হত্যার চেষ্টাসহ শত্রুতা ও আক্রোশ পোষণ করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এরই জের ধরে গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, পিস্তল, ককটেল, রামদা, কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হালিমুল হক মীরুকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়ি ঘেরাও করে বাড়ির অন্যান্য লোকজনকে হত্যার হুমকি দেয় এবং বাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে। আসামিদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিমের হুকুমে ছাত্রলীগ নেতা কাজল ও মাসুদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে মেয়রের বাড়িতে থাকা সাহেব আলী, জহির আলী, কালু ও মানিক আহত হয়। এ সময় বাড়ির লোকজন আসামিদের বাধা দিলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে অনেক পথচারী ও সাংবাদিক শিমুল আহত হয়।

মেয়রের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুই লাখ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। আর মামলা করতে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, সাক্ষীরা চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৪এপ্রিল/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :