মেয়রের দায়িত্ব নিলেন বুলবুল

রাজশাহী ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৫৯ | প্রকাশিত : ০৫ এপ্রিল ২০১৭, ১২:২৪

তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নগর ভবনে গিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসেন তিনি। এ সময় বিএনপিপন্থী কাউন্সিলররা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

মেয়রের দায়িত্ব নিতে সকালে নগরীর উপশহরের বাসা থেকে অটোরিকশায় চড়ে নগর ভবনে যান বুলবুল। এ সময় বিএনপির বিপুল নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন।

নগরভবনে পৌঁছার পর তাকে স্বাগত জানান বিএনপিপন্থী কাউন্সিলররা। তাদের সঙ্গে হাত মেলানোর পর তিনি সোজা চলে যান তার কক্ষের দিকে। গতদিন তালা ভেঙে অফিসে ঢুকলেও আজ ঢোকার সময় অফিসের দরজা খোলাই ছিল। সেখানে পৌঁছার পর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন ও সচিব মাহাবুবুর রহমান তাকে স্বাগত জানান। মেয়রের চেয়ারে বসে তিনি মোনাজাত করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ২০১৩ সালের ১৫ জুন রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২০১৫ সালে ৭ মে বুলবুলকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ উচ্চ আদালত তার বরখাস্ত আদেশ স্থগিত করা হয়।

এরপর গত ২৮ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে গত রবিবার সকালে দায়িত্ব নিতে নগর ভবনে গিয়ে তার কক্ষটি তালাবদ্ধ অবস্থান দেখেন বুলবুল। এরপর রাজশাহী সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শরীফ উদ্দীন ও সচিব মাহাবুবুর রহমান পুলিশের সহযোগিতায় মেয়রের অফিস কক্ষের দুটি তালা ভাঙেন।

মেয়রের চেয়ারে বসার তিন মিনিটের মাথায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক ফ্যাক্সবার্তায় তাকে আবারও বরখাস্ত করা হয়েছে বলে মেয়র বুলবুল জানতে পারেন।

মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মেয়র বুলবুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হয়েছে। আর স্থানীয় সরকারের (সিটি করপোরেশন) ২০০৯ সালের আইনে মেয়রের নামে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হলে তাকে বরখাস্তের বিধান রয়েছে। তাই মেয়র বুলবুলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে রিট করলে হাইকোর্ট বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন। আদালতের আদেশের পর বুধবার তৃতীয় দফায় মেয়রের দায়িত্ব নেন বুলবুল।

২০১৮ সালের ১৫ জুন মেয়র বুলবুলের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে। সে অনুযায়ী তিনি আর ১৫ মাস দায়িত্বে থাকতে পারবেন।

দায়িত্ব নেয়ার পর মেয়র বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ১৫ মাসকেই পাঁচ বছর হিসেবে ধরে আমি কাজ করবো। নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাল, এই সময়ের মধ্যে তার অর্ধেক হলেও করতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

ঢাকাটাইমস/৫এপ্রিল/আরআর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :