বৈশাখী শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের তাঁতীরা

রানা আহমেদ, সিরাজগঞ্জ থেকে
 | প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল ২০১৭, ০৮:১৩

নতুন স্বপ্ন, উদ্যম আর প্রত্যাশার আবির ছড়ানো বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় উৎসব পয়লা বৈশাখ। সব না পাওয়ার বেদনাকে ধুয়ে মুছে, আকাশ-বাতাস ও প্রকৃতিকে অগ্নিস্নানে সূচি করে তুলতেই আবার আসছে পয়লা বৈশাখ। এই আয়োজনকে ঘিরে সিরাজগঞ্জের হাজার-হাজার তাঁতীরা এখন ব্যস্ত নানা রংয়ের শাড়ি তৈরিতে। দিনরাত খটখট আওয়াজে মুখরিত জেলার এনায়েতপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর এবং সয়দাবাদের তাঁতপল্লীগুলো।

বৈশাখী শাড়ি, তাতে নকশা না থাকলেই নয়। তাই তো সবার মন ভরাতে তৈরি করা হচ্ছে ঢাক ঢোলসহ নানান প্রতীক সম্বলিত নকশার শাড়ি। বাহারি ডিজাইন ও উন্নত সুতা দিয়ে তৈরি করায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে সিরাজগঞ্জের শাড়ির ব্যাপক চাহিদা। ২০০ থেকে দুই হাজার টাকা দামের এসব শাড়ি কিনতে তাঁতী বাড়িতে ভিড় করছেন ব্যাপারিরা। এ উৎসবে সিরাজগঞ্জে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার শাড়ি বেচাকেনার আশাবাদ তাঁতীদের।

বৈশাখকে ঘিরে সিরাজগঞ্জের শাড়ির সুনাম ছড়িয়ে পড়–ক দেশ-বিদেশে এমনটাই চাওয়া এ অঞ্চলের তাঁতীদের। সিরাজগঞ্জের তৈরি রং-বেরঙের পোশাকে বর্ণিল হয়ে উঠবে সিরাজগঞ্জসহ গোটা দেশ- এমনটা প্রত্যাশা তাদের।

কাপড় ব্যাপারি নুর মোহাম্মদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা শাহজাদপুর থেকে সয়দাবাদে এসেছি বৈশাখী কাপড় কেনার জন্য। খুচরা বাজারে বৈশাখের বাজার এখনো লাগেনি। তবে পাইকারি বাজারে কাপড়ের চাহিদা আছে প্রচুর। প্রতি বছর আট থেকে নয় লাখ টাকা কাপড় কিনে তা খুচরা বাজারে বিক্রি করি। তাতে আমার এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ হয়।’

কাপড় ব্যবসায়ী শামসুল আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সিরাজগঞ্জের তৈরি বৈশাখী শাড়ির কদর দেশজুড়ে রয়েছে। যেহেতু সিজেনাল ব্যবসা এজন্য কাপড় তৈরি করতে প্রচুর টাকা লাগে। কোনো ব্যাংক থেকে অল্প সুদে আর্থিক সহায়তা পেলে চাহিদা পূরণ করতে পারতাম। এজন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।’

কাপড় ব্যবসায়ী শাহ আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের দেশে বৈশাখী শাড়ির যে চাহিদা তার বেশি ভাগ আমরাই পূরণ করি। আমাদের এখান থেকে গাউছিয়া, কুষ্টিয়ার পোড়াদহ, বাবুর হাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসে আমাদের এখানে। সিরাজগঞ্জের তৈরি বৈশাখী শাড়ি দেশের প্রায় ৭০ ভাগ চাহিদা মেটাচ্ছে। আমরা বাপ চাচারা মিলে প্রায় তিন কোটি টাকার শাড়ি বিক্রি করবো। শাড়ির দামটা একটু বেশি। কারণ সুতা ও রং এর দামটা একটু বেশি। এ কারণে লাভ একটু কম হচ্ছে।’

(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :