হত্যার দায়ে গাজীপুরে তিনজনের ফাঁসির আদেশ

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:৩৩ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:৩৮

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজীপুরের টঙ্গীতে উত্তরা ইউনিভারসিটির বিবিএর শ্রেণির ছাত্র আব্দুর রহমান রিয়াদকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছে একটি আদালত। আরও একজনকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল হক বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা সবাই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হল, টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার জামতৈল গ্রামের রেজাউল করিম ওরফে সাগর, জামালপুরের মোহনপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন এবং মৌলভীবাজারের শাহাব উদ্দিন। যাবজ্জীবন কারাদ- পেয়েছেন ফাঁসির আদেশ হওয়া সাগরের স্ত্রী সানজিদা আক্তার লিপি।

নিহত আব্দুর রহমান রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগ থানার নবীপুর গ্রামের আবুধাবী প্রবাসী খাজা মাইন উদ্দিনের ছেলে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী রিয়াদ গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগআলীতে বসবাস করে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে বিবিএতে লেখাপড়া করতেন। এসএম মাতুল কোচিং সেন্টারে কোচিং করার সময় লিপির সাথে রিয়াদের ঘনিষ্ঠতা হয়। এক পর্যায়ে ২০১৩ সালে ২৩ জুলাই চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিয়াদকে লিপি তার স্বামী সাগরের কাছে তুলে দেন।

সাগর ২৫ জুলাই আবুধাবিতে থাকা বিয়াদের বাবার কাছে ফোনে জানান, বিয়াদ তাদের কাছে আছে এবং আইনের আশ্রয় নিলে তাকে মেরে ফেরা হবে। এর দুই দিন পর ২৭ জুলাই ফের ফোন করে রিয়াদের বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

পরদিন নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা না দিলে কান কেটে ফেলা হবে বলে রিয়াদের বাবার কাছে মেসেজ পাঠানো হয় আসামিদের পক্ষ থেকে। পরে এ ঘটনায় রিয়াদের মামতো ভাই জাকির হোসেন ৩০ জুলাই টঙ্গী থানায় অপহরণের অভিযোগ এবং র‌্যাব-১ কাছে দরখাস্ত দেন।

পরে র‌্যাব প্রথমে সাগর এবং পরে অন্য আসামিদেরকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি শাহাবুদ্দিন স্বীকার করেন যে, তারা তিনজনে মিলে রিয়াদকে খুন করে জামালপুরের একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখেন।

রিয়াদকে জামালপুরে পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে এবং আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম দাফন করে। তার মৃত্যুর ৩৬ দিন পর কবর থেকে তুলে মায়নাতদন্ত করা হয়।

তদন্ত শেষ প্রথমে টঙ্গী থানা পুলিশ ও পরে সিআইডি চার আসামির বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। ১৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ এবং শুনানি শেষে বিচারক ওই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে হারিজ উদ্দিন আহমেদ এবং আসামিপক্ষে ওয়াহিদুজ্জামান আকন্দ, আব্দুল জলিল ও জেবুন্নাহার মিনা মামলাটি পরিচালনা করেন।

ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি