বীরশ্রেষ্ঠ রউফের গ্রাম আর উন্নয়ন বঞ্চিত থাকবে না: দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০১৭, ২১:০০ | প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল ২০১৭, ২০:৪০

শহীদ ল্যান্সনায়েক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের গ্রাম ‘রউফনগর’ আর উন্নয়ন বঞ্চিত থাকবে না বলে জানিয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক এই সময় সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন। তিনি বলেন, এরইমধ্যে বীর সন্তান আব্দুর রউফের স্মৃতি জাদুঘরসহ তার বাড়িটি উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের রউফনগর গ্রামে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকাটাইমস সম্পাদক।

অনুষ্ঠানে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাঠাগারকে আড়াই শতাধিক বই দেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান দোলন।

আরিফুর রহমান দোলন বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে। গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর উন্নয়ন করা হবে। শিগগিরই জেলা পরিষদ কাজ শুরু করবে।

ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, গত ১২ মার্চ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের বাড়ি দেখতে আসি। এখানে আসার পর আমার কাছে খবুই খারাপ লেগেছে। এমন একজন বীর সন্তানের নিজের গ্রামটি এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে অনেকটা দূরে আছে। তার বাড়িটিও জরাজীর্ণ। বাড়িটি সীমানা প্রাচীর দিয়ে সংরক্ষণ প্রয়োজন। তাছাড়া স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগারটিও সমৃদ্ধ নয়। তিনি বলেন, আমি বলে গিয়েছিলাম- সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও জাদুঘরটি সমৃদ্ধ করতে আমি সরকারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে বিষয়টি তুলে ধরব। প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী বিষয়টি আমি মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছে খুলে বলি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি (মন্ত্রী) ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লোকমান হোসেনকে ডেকে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের স্মৃতি জাদুঘরসহ বাড়িটি উন্নয়নে সব ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গত ৩ এপ্রিল বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের বাড়িতে এসেছিলেন। এখানে সব দেখে গেছেন। কী কী লাগবে সেগুলো ঠিক (হিসাব) করা হয়ে গেছে। অর্থ বরাদ্দ হলে শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

দোলন বলেন, আপনাদের এখানকার রাস্তা-ঘাটের দুরাবস্থা দেখেছি। বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করেছি। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয় জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সঙ্গে যে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে সেটা যেন বিচ্ছিন্ন না হয়। বীরশ্রেষ্ঠের এই গ্রাম আর উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত থাকবে না। থাকতে পারে না। আমরা থাকতে দেব না। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আপনাদের দুঃখ দুর্দশার কথা পৌঁছে দেব। আমি কথা দিচ্ছি।

স্থানীয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ সম্পর্কে তোমাদের জানতে হবে। পাঠাগার হচ্ছে জ্ঞানের বিদ্যাপীঠ। এটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য মানসম্মত বই প্রয়োজন। কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন আজেকের মত আগামীতেও পাঠাগারটিকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করে যাবে।’

স্থানীয় ৪৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মহাব্বত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল, কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ শওকত আহমেদ, কৃষক লীগ আফাডাঙ্গা শাখর আহ্বায়ক সোলায়মান আহমেদ, বিশিষ্ট চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী, কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, ফরিদপুর জেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক সাজ্জাদ বাবু প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/এইচএফ/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :