বাগেরহাটে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী মতুয়া মেলা
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৬ তম আর্বিভাব স্মরণোৎসব উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী মতুয়া মেলা শুরু হয়েছে।
শনিবার মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীখালী শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ ঠাকুরের মন্দির প্রাঙ্গণে এই মেলা শুরু হয়েছে। মেলা চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত।
শনিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার ভক্ত ডঙ্কা, ঢাক, ঢোল, ঝাঁঝ, কাঁশর, চাকি, বাঁশি, শঙ্খ, শিঙ্গা, এক তারা, দোতরাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মুখে হরিনাম করতে করতে এখানে আসছেন।
তারা তাদের পাপমোচন করতে ধর্মীয় বিশ^াসের জায়গা থেকে এখানে বারুনীর ¯œান করছেন। রবিবারও এখানে আরো অনেক ভক্ত তাদের দল নিয়ে আসবেন।
এই মেলা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গোপাল চাঁদ ঠাকুরের মন্দিরের পুরোহিত গদিনিশ্বর সাগর সাধু ঠাকুর বলেন, প্রতিবছর এ মেলায় ওপার বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতবর্ষের বেশ কয়েকটি মতুয়া দল এই পূর্ণধামে উপস্থিত হয়েছেন তাদের প্রাণের টানে। ¯œান ও কীর্তন গান করে তারা তাদের মনোবাসনা পূরণ করেন। প্রতিবছর পূণ্যার্জন করতে এখানে লাখো মানুষ জড়ো হন।
ভারত থেকে আসা লোকসভার সদস্য মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মাতাশ্রী মমতা ঠাকুর বলেন, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এখানে সব ধর্মের মানুষ জড়ো হয়েছেন।
এখানে কে হিন্দু কে খ্রিস্টান তার কোনো ভেদাভেদ নেই। হরি ঠাকুর যে ভ্রাত্বিত্ববোধ স্থাপন করেছেন তা হচ্ছে মানবপ্রেম। মানবতাই হচ্ছে বড় ধর্ম। এখানে কোনো ধর্মের বিচার নেই। এখানে ভারত থেকে আসতে পেরে নিজেকে পূণ্যবান মনে করছেন বলে জানান তিনি।
এই অনুষ্ঠানে আসা ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, এদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক। এখানে সব ধর্মের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষের মূলমন্ত্র ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/প্রতিনিধি/ইএস)