বাস না থামানোয় চালকের মাথা ফাটাল পুলিশ, মহাসড়ক অবরোধ
বাস না থামানোয় নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মদনপুরে গার্মেন্টস শ্রমিক বহনকারী এক মিনিবাসের চালককে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আহত মিনিবাসের চালক জহিরুল ইসলাম স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে রবিবার শ্রমিকরা দোষী পুলিশের শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে আধাঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন।
রবিবার সকালে মদনপুর চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যাক্ষদর্শী শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে সোনারগাঁয়ের প্রভাকর্দী এলাকা থেকে কাঁচপুর অনন্ত ডেনিম গার্মেন্টস শ্রমিকদের বহনকরা একটি মিনিবাস মদনপুর চৌরাস্তা এলাকায় অতিক্রম করার সময় হাইওয়ে পুলিশের সদস্য বিশ্বজিৎ থামার নির্দেশ দেন। এসময় ওই মিনিবাসের চালক জহিরুল ইসলাম পুলিশের আদেশ অমান্য করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাইওয়ে পুলিশের সদস্য বিশ্বজিৎ হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ওই মিনিবাসের সামনের গ্লাস ভাঙচুর করে। এসময় চালক জহিরুল ইসলাম প্রতিবাদ জানালে তাকেও পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন। আহত চালক জহিরুল ইসলামকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দোষী পুলিশ সদস্য বিশ্বজিতের অপসারণের দাবিতে আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে ওই গার্মেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশে কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, আজ রবিবার সকালে মদনপুরে হাইওয়ে পুলিশের এক সদস্য এক চালকের মাথা ফাটিয়ে দেয়ার ঘটনায় ১৫-২০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ সৃষ্টি করা হয়েছিল। ঘটনাটি হাইওয়ে পুলিশ ঘটিয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ দিতে থানায় আসেনি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শরিফুল আলম জানান, ভুল বোঝাবুঝিতে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সদস্য বিশ্বজিৎ গাড়িটি থামার জন্য সিঙ্গেল দিলে তা অমান্য করায় ওই পুলিশ সদস্য মিনিবাসের কাঁচ ভাঙচুর করে। পরে কাঁচের আঘাতে চালক আহত হন। পুলিশ সদস্য গাড়ির কাঁচ ভেঙেছে এই জন্য তার যতটুকু দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/প্রতিনিধি/ইএস)
মন্তব্য করুন