ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় কচুয়ার ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
চাঁদপুরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কচুয়া উপজেলার ১২নং আশ্বাফপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুভাষ (৫০) কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রবিবার বিকেলে আটক চেয়ারম্যানকে আদালতে নেয়া হয়। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে মামলার আসামি হিসেবে ওই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান (৩৮) কে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আটক চেয়ারম্যান ইউনিয়নের জগদিস দাসের ছেলে মাসুদ এলাহী সুভাষ। তিনি ১৯৮৯ সালে হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেন।
গত ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে কচুয়া থানায় জগতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রীর পিতা সেলিম কাদির সাত জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো সাত জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৪।
কচুয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে মামলার প্রেক্ষিতে কচুয়া থানা পুলিশ ঢাকা মেট্রো পুলিশের সহায়তায় চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহীকে ফকিরাপুল এলাকা থেকে আটক করে কচুয়া থানায় নিয়ে আসা হয়। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
চেয়ারম্যানের ভাতিজা হেলাল হোসেন মিলন জানায়, তিনি থানা যুবদলের ১৪ বছর ধরে সাধারণ সম্পাদক ও আশ্রাফপুর ইউনিয়নের পরপর তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এটা একটা ষড়যন্ত্র। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করার জন্যই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/প্রতিনিধি/ ইএস)
মন্তব্য করুন