ইন্দুরকানীতে ২১ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

পিরোজপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:০৫

১৫ দিনের মাথায় পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় আবারও আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ এ আগুনে ২১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে প্রায় তিন কোটি টাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইন্দুরকানী উপজেলার বলেশ্বর নদীসংলগ্ন উত্তর প্রান্ত বাজার গলিতে রবিবার রাত পৌনে চারটার দিকে আগুন লাগে। এসময় বাজারের মুদি মনোহরী, ফলের দোকান, মোবাইল সার্ভিসিং, ফার্মেসি, সেলুন, মিষ্টির দোকান, হোটেলসহ অন্তত ২১টি দোকান পুড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে চুলা নাকি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এর সূত্রপাত তা জানা যায়নি।

এটি অগ্নিকাণ্ড নাকি নাশকতা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। কেউ কেউ ব্যবসায়ীদের ইন্সুরেন্সকে সন্দেহের চোখে দেখছেন বলেও জানা গেছে।

আগুনের খবর পেয়ে পিরোজপুর ও নাজিরপুরের দুটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় পৌঁছার আগেই এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ভাণ্ডারিয়ার ফায়ার সার্ভিস ইউনিটও আগুনের সংবাদ শুনে ইন্দুরকানীতে আসে। এ তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থালে পৌঁছে অপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষায় (আগুন ছড়াতে পারেনি) পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

ইন্দুরকানী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সেখ সোমবার সকালে ঢাকাটাইমসকে জানান, এ সংবাদ শুনেই ঘটনাস্থলে গিয়ে, ফায়ার সার্ভিস খবর দিয়ে ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসা পর্যন্ত ছিলাম। আগুনে প্রায় ২১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় চার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি, তিনি হোল সেলার। আজ (সোমবার) তার দোকানের ‘হাল খাতা’র দিন ধার্য ছিল।

অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ২১টি দোকানের মধ্যে প্রায় ১৩/১৪টি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের এবং তাদের প্রত্যেকেরই ইন্সুরেন্স রয়েছে বলে শুনেছি।

পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাফিজুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, এ ঘটনায় ২১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত চুলার আগুন থেকে হয়েছে বলে জানান।

ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুরুল হুদা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সকালে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয়রা ক্ষোভ নিয়ে ঢাকাটাইমসর প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের উপজেলায় (ইন্দুরকানী) ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই। আমাদের উপজেলা অন্য উপজেলা থেকে বঞ্চিত। না হয় একটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস না থাকার কথা বলে প্রশ্ন রাখেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ শুক্রবার গভীর রাতে ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট বন্দর বাজারে আগুনের ঘটনা ঘটেছিল। এতে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :