বর্ষবরণ উৎসবের আমেজে রঙিন পাহাড়
পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণের উৎসবকে মারমা ভাষায় সাংগ্রাইং, ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু ও চাকমা-তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় বিঝু। এ তিনটিকে একসাঙ্গে বলা হয় বৈসাবি। পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের বুধবার থেকে ঐতিহ্যবাহী এসব উৎসব শুরু হবে।
‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা, রিকাজাইগাই পামে’ (এসো হে বৈসাবির মৈত্রী পানি বর্ষণে) মারমার গানের সুরের তালে জেলা শহরসহ পাহাড়ি জনপদগুলো উৎসবের আনন্দে মুখর হয়ে উঠবে। প্রতিবছরই পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় পৃথকভাবে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ বৈ-সা-বি উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।
এই বর্ষবরণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবারে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও র্যালির মাধ্যমে বান্দরবানে শুরু হবে ‘সাংগ্রাইং’ এবং “বৈসাবি” উৎসব। মারমা, চাকমা, ত্রিপুরাসহ জেলার ১১টি আদিবাসী সম্প্রদায় নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে র্যালিতে অংশ নেবে। বুদ্ধ মূর্তিস্নান, বয়স্ক পূজা, পিঠা উৎসব, মৈত্রী পানিবর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে এই উৎসব।
এই উৎসব আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি হ্লাগ্যচিং মারমা জানান, চার দিনের এ উৎসবে রয়েছে সাংগু নদীর পাড়ে বুদ্ধ মূর্তিস্নান, পাড়ায় পাড়ায় ও গ্রামে গ্রামে রকমারি পিঠা পুলি তৈরি ও বিতরণ, রাজমাঠসহ নানাস্থানে পৃথকভাবে মৈত্রী পানিবর্ষণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলার গ্রামে গ্রামেই এসব কর্মসূচি উদযাপিত হবে পৃথকভাবে।
এই উৎসবের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, বৈসাবির উৎসবের জন্য নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, ট্রাফিক ও জেলা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন