এইচআরডব্লিউ’র সমালোচনায় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে বলে সমালোচনা করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার আমাদের স্বার্থ আদায়ে কাজ করছে। আর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) যেসব প্রতিবেদন দিচ্ছে তা সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে দিচ্ছে না। তারা বাংলাদেশের সমালোচনা করতেই ব্যস্ত থাকে। যেসব জায়গায় মানবাধিকার বাস্তবায়নে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে সেগুলা তাদের অজানা। তারা তাদের নিজস্ব এজেন্ডার জন্য কাজ করে। এনিয়ে সুশীল সমাজেও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার জেলা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আয়োজনে “মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়ন: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা” শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন কাজী রিয়াজুল হক।
বাংলাদেশে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে কিংবা জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের দায়ে যখন কাউকে সাজা বা ফাঁসি দেয়া হয়, তখন তাদের ব্যাপারে অত্যন্ত সরব প্রতিক্রিয়া জানায় এইচআরডব্লিউ। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। অথচ দেশের আরও অন্যান্য ঘটনায় একাধিক অপরাধীকে ফাঁসির রায় দেয়া হলেও এসব ব্যাপারে তাদের কোনো বক্তব্য থাকে না। এমননি যারা দেশে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম ও বিভিন্ন উপায়ে হত্যাকা- ঘটাচ্ছে তাদের বিপক্ষেও কোনো কথা বলতে দেখা যায় না হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে। এ নিয়ে সুশীল সমাজ ও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মানববাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আজ বললেন তারা এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে। মানবাধিকারের উন্নয়নে সরকারের সফলতা ও পদক্ষেপগুলো তাদের চোখে পড়ে না।
মানবাধিকার কমিশনের দিকে ইঙ্গিত করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এটি। বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মানবাধিকার রক্ষায়। এখানে যেসব সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে তা বিনামূল্যে হয়ে থাকে। টাকা লেনদেনের কোনো সম্পর্ক্য এখানে নেই। আমরা ইতিমধ্যে পাঠ্যপুস্তকে মানবাধিকার বিষয়টি আনতে যাচ্ছি। বাল্যবিবাহ হচ্ছে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন। গৃহকর্মী নির্যাতন, শিক্ষার্থী নির্যাতন ইত্যাদী বন্ধে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ও জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানার সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নুরুন নাহার ওসমানি, বাঞ্চিতা চাকমা এবং মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, মানবাধিকার কমিশনার ইসরাত হোসেন খাঁন সহ মুন্সীগঞ্জ জেলা সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা।
(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/প্রতিনিধি/ইএস)
মন্তব্য করুন