বৈশাখের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি, শিক্ষককে মারধর
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি করায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বড়দিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবিএম কামরুজ্জামানকে (৫২) কিল-ঘুষি মেরে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানকে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক এবিএম কামরুজ্জামান জানান, বুধবার সকালে অফিস কক্ষে এসে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে নামে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক তার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে কিল-ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেন। কামরুজ্জামানের বাড়ি নড়াগতির চোরখালী এবং আব্দুর রাজ্জাক বাড়ি লোহাগড়ার কোটাকোল ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামে।
এদিকে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী সকালে প্রধান শিক্ষকের কাছে ৩০০ টাকা দাবি করলে এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি (প্রধান শিক্ষক)।
বিষয়টি জানার পর আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে টাকা দিতে অনুরোধ করি। তবে, প্রধান শিক্ষককে মারধর করা হয়নি বলে দাবি করেছেন আব্দুর রাজ্জাক।
(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)