করিমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৭, ২২:১৪

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে পরিষদের দুজন ভাইস-চেয়ারম্যান ও ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনাস্থা দিয়েছেন। অনাস্থাকারীরা বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় প্রকল্পের টাকা আত্মসাত, দায়িত্বে অবহেলা ও সরকারের উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদান করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন। পরে সর্বসম্মতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহিত হয়।

করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খান দিদার জানান, আমরা দুজন ভাইস-চেয়ারম্যান থাকা সত্বেও আমাদের সাথে কোনো পরামর্শ ছাড়াই একতরফাভাবে চেয়ারম্যান একাই পরিষদের বিভিন্ন কাজের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সবার সাথে অশালীন আচরণ করেন। ফলে সবাই অতিষ্ট।

মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান দিলোয়ারা বেগম বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভাগুলোতে চেয়ারম্যান সঠিক সময়ে উপস্থিত হন না। তাছাড়া সরকারের সব উন্নয়ন প্রকল্পসহ প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অসহযোগিতা ও বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কারণে তার প্রতি অনাস্থা দেয়া হয়েছে।

নোয়াবাদ ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন কাজী বলেন, জনগণের সেবা করতে এসেছি। কিন্তু বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কারণে সে সেবা করতে পারছি না।

দেহুন্দা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সঞ্জু বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যনের নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় সবাই অতিষ্ট।

কিরাটন ইউপি চেয়ারম্যান ইবাদুর রহমান শামীম বলেন, পরিষদে বসে তিনি বিএনপির কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে তিনি ব্যস্ত থাকেন।

নিয়ামতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাখদুম কবির তন্ময় বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে আমরা কোনো সহযোগিতা তো পায়ই না, বরং পেয়েছি প্রাণনাশের হুমকিও।

অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরিষদের তিন বছরের সময়ের মধ্যে মাত্র একটি সভায় রাস্তায় যানজটের কারণে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারিনি। প্রকল্প বাস্তবায়নে অসহযোগিতার বিষয়ে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানদের দোষারোপ করে বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো সভায় তারা উপস্থিত না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানরা ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন ছাড়াই প্রকল্প জমা দেন, যা অনৈতিক ও বেআইনি। রেজুলেশন ছাড়া তাদের প্রকল্প গ্রহণ না করায় তারা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম অনাস্থা প্রস্তাবের রেজুলেশনের কপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের জন্য পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় ইচ্ছা করলে বিষয়টি তদন্ত করতে পারে, অথবা সিদ্ধান্ত দিতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)