পাহাড়ে বিজুতেও ছুটি মেলে না আদিবাসী ব্যাংক কর্মীদের

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
 | প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল ২০১৭, ২২:৩৯

বৈসু, সাংগ্রাই, সাংক্রান, বিজু, বিহু, (বৈসাবী) উপলক্ষে ২০১৫ সালে চার দিন ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু এই ছুটি কপালে জুটে না ব্যাংকে কর্মরত আদিবাসী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। মূল বিজু দিনেও (৩০ চৈত্র/১৩ এপ্রিল) অফিস করতে হয় তাদের।

বৃহস্পতিবার রাঙামাটির বিভিন্ন সরকারি-বেরসকারি ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, আদিবাসী কর্মকর্তারা দাপ্তরিক কাজ করছেন।

সোনালী ব্যাংক নিউ কোট বিল্ডি শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার মূল বিজুর দিনে যেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিজু উপভোগ করার কথা, বন্ধুদের সময় দেয়ার কথা, তার পরিবর্তে আমাকে অফিস করতে হচ্ছে।

বনরূপা ট্রাস্ট ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ঐচ্ছিক ছুটি কি আমরা বুঝি না। ছুটির জন্য আবেদন করতে হয়। আমাদের এই আবেদন মঞ্জুর করা হলে ছুটি। মঞ্জুর না হলে ছুটি নেই। এই ছুটি আমাদের কোন কাজে লাগে না। না লাগে বলে অফিস করতে হচ্ছে।

রাঙামাটি শাখার অগ্রণী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, এই দিনে অফিসে কেন? ছুটি নেই? কেউ যখন এ দুটি প্রশ্ন করে তখন কষ্ট হয়। আমাদের এই ছুটি কাজে লাগে না।

সোনালী ব্যাংক রাঙামাটি প্রিন্সিপাল অফিসের ব্যবস্থাপক আমির আজিজ বলেন, ছুটির প্রজ্ঞাপনে অস্পষ্ট রয়ে গেছে। এ উৎসবের কথা বিবেচনা করে আদিবাসীদের আমাদের ব্যাংকে মহিলা কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের বিশেষ বিবেচনা করে ছুটি দেয়া হয়েছে। তবে ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।

পাহাড়ের বসবাসরত ১৩টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই উৎসবকে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী বলে বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই, চাকমারা বিজু, অন্যরা বিষু, বিহু, চাংক্রান ইত্যাদি। এসব আদি অক্ষর দিয়ে বলা হয় বৈসাবি। যদিও বৈসাবি নামে কোন জনগোষ্ঠী এ উৎসব পালন করেন না।

আদিবাসীদের সামাজিক এই প্রধান উৎসবের কথা বিবেচনা করে সরকার ২০১৫ সালে ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করে।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :