বিএনপির মতো আচরণ করছেন মহিউদ্দিন!
চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী বিএনপির ভূমিকায় কথা বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক গণপরিষদ সদস্য মো. ইসহাক মিয়া। তিনি বলেছেন, বিএনপি যেটা বলছে- সেটা উনি (এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী) কেন বলবেন?
সম্প্রতি চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ড. মাহমুদ হাসানের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসহাক মিয়া এসব কথা বলেন।
ইসহাক মিয়া বলেন, ‘যদি ওনার (মহিউদ্দিন) কোনো কথা থাকে বা অভিযোগ থাকে তাহলে হাইকমান্ডকে বলা উচিত। কথা থাকলে আওয়ামী লীগের অফিসে গিয়েও বলা যায়। কিন্তু লালদীঘির মাঠে গিয়ে ওনার মতো মানুষের মুখে এই ধরনের কথাবার্তা মানায় না।
সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর মাথার ওপর একটি লাঠি দাঁড় করিয়ে বসে থাকার ছবির কথা উল্লেখ করে ইসহাক মিয়া বলেন, ‘একজন নেতা হয়ে উনি লাঠি হাতে নিয়ে বসে আছেন- এটা কী মিন করে, সেটা আমি বুঝি না। মহিউদ্দিন চৌধুরী যেমন আওয়ামী লীগের নেতা, তেমনি মেয়রও (আ জ ম নাছির) আমাদের। পর¯পরের বিরুদ্ধে কথা বলাটা সমীচীন নয়।’
আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা আরো বলেন, একজন নির্বাচিত মেয়রকে তার মেয়াদকাল পর্যন্ত কাজ করতে দিয়ে তারপর তার কাজের মূল্যায়ন করা উচিত। মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চেঁচামেচি করা ঠিক নয়।
শোক সভার প্রধান আলোচক ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী একজন সাবেক মেয়র। তিনি বর্তমান মেয়রের বিরুদ্ধে এবং সিটি কর্পোরেশনকে পাগলের আড্ডাখানা বলতে পারেন না। ওনার (মহিউদ্দিন চৌধুরী) আমলেও আমি কাউন্সিলর ছিলাম, এখনো আছি। আমি ওনার কাজও দেখেছি। এখন মেয়র নাছির ভাইয়ের কাজও দেখছি।’
লালদীঘির সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী পটিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীকে বিচ্ছু বলেছেন- যা একজন জনপ্রতিনিধিকে অসম্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। তিনি বলেন, একজন জনপ্রতিনিধিকে বিচ্ছু বলে অসম্মান করার অধিকার কারো নেই।
(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল মোআ)
মন্তব্য করুন