নিঃশর্ত বিশ্বাসের নাম ইসলাম
আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম হলো ইসলাম। এই ধর্মের রীতি-নীতি সবকিছুতে আছে স্বাতন্ত্র্য। একজন মুসলমানকে এই ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কেও বিশ্বাস থাকতে হবে। মনে-প্রাণে ইসলামকে ধারণ করা এবং এই ধর্মের বিধান সঠিকভাবে পালন করাই হচ্ছে প্রকৃত মুসলমানের কাজ। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিজের ধর্মের প্রতিটি বিধি-বিধানকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে নিতে হবে এবং পালন করতে হবে। এমনকি কোনো বিধান সম্পর্কে নিজের মধ্যে প্রশ্ন থাকলেও বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে, এটা আল্লাহ ও তার রাসুল আমাদের কল্যাণের জন্যই দিয়েছেন।
অনেক সময় আমাদের অজ্ঞতা ও সীমিত জ্ঞানের কারণে হয়তো তা বুঝে আসে না। এ জন্য কোনো মুসলমান কখনো বিজাতীয় আচার-আচরণ, কৃষ্টি-কালচারে অভ্যস্থ হতে পারে না। অত্যন্ত সচেতনভাবে নিজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে হবে। যারা তা লঙ্ঘন করবে তাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের হুঁশিয়ারি রয়েছে।
হজরত জাবের (রা.) বলেন, একবার হজরত ওমর (রা.) রাসুল (সা.) এর কাছে এলেন এবং বললেন, আমরা ইহুদিদের কাছে থেকে এমন এমন বাণী শুনি, যা আমারে কাছে ভালো লাগে। আপনি কেমন মনে করেন, যদি আমরা তাদের সেই সব বাণী থেকে কিছু কিছু লিখে রাখি? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন: ইহুদির যে ভ্রষ্টতায় লিপ্ত হয়েছে, তোমারাও সেই ভ্রষ্টতায় লিপ্ত হতে চাও নাকি? আমি তোমাদের কাছে থেকে এমন উজ্জ্বল নিখুঁত ও সহজ বিধান নিয়ে এসেছি যে, এমনকি আজ যদি স্বয়ং মুসাও (আ.) বেঁচে থাকতেন, তবে তিনিও আমার এই বিধান অনুসরণ না করে পারতেন না (মুসলিম)।
তাদের কাছে অবতীর্ণ ধমগ্রন্থ বিকৃত করে ফেলেছিল। তবে পুরোপুরি বিকৃত করতে পারেনি। তাতে কিছু কিছু ভালো কথাও অবশিষ্ট ছিল। মুসলমানরা সেসব কথা শুনত এবং তা তাদের কাছে ভালো লাগত। রাসুল (সা.) যদি সেই সব বাণী লিখে রাখার অনুমতি দিতেন, তাহলে ইসলামের নিদারুণ ক্ষতি হয়ে যেত। পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে, সব ধর্মেই কিছু না কিছু ভালো কথা আছে। তাই বলে যার নিজ বাড়িতে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানির ঝরনা বিদ্যমান, অন্যের ঘোলা পানির চৌবাচ্চার কাছে ঝরনা দেয়া তার শোভা পায় না।
(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/জেবি)
মন্তব্য করুন