দুই শিক্ষকের পিটুনিতে রক্তাক্ত স্কুলছাত্র
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুই শিক্ষকের পিটুনিতে রক্তাক্ত হলো এক স্কুলছাত্র। কাঠের বাটাম দিয়ে পেটানোর কারণে ওই ছাত্রের মাথা ফেটে যায়। তার মাথায় সাতটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সুফিয়ান কয়ড়া চরপাড়া গ্রামের আলেফ উদ্দিন আকন্দের ছেলে এবং ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। আর অভিযুক্ত শিক্ষক রাজিন ইসলাম ও মানিক হোসেন একই স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক।
সুফিয়ানের বাবা আলেফ উদ্দিন আকন্দের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে কয়ড়া স্কুল ও কলেজ চত্বরে বহিরাগত এক ছেলে মেয়েদের ছবি তোলে। এনিয়ে সোমবার দুপুরে সুফিয়ানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কিছু ছাত্রের গোলযোগ বাধে। পরে বিচারের কথা বলে খণ্ডকালীন শিক্ষক রাজিন ইসলাম ও মানিক হোসেন সুফিয়ানকে জামার কলার ধরে অফিস রুমে নিয়ে কাঠের বাটাম দিয়ে পেটায়। এতে সুফিয়ানের মাথা ফেটে যায়। পরে সহপাঠীরা তার ছেলেকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়। তার মাথায় সাতটি সেলাই দেয়া হয়েছে বরে জানান তিনি।
এ ঘটনায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের কাছে বিচার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অধ্যক্ষ বিচার না করায় উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানান সুফিয়ানের বাবা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কয়ড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন ছাত্র পেটানোর ঘটনাটিকে সামান্য ঘটনা উল্লেখ করে স্থানীয়ভাবে এর বিচার করবেন বলে জানান।
উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, ‘মৌখিকভাবে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আহত শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/জেডএ)