নারী উদ্যোক্তাবান্ধব বাজেট চায় উইমেন চেম্বার

প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০১৭, ২০:২৫ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৭, ২১:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডব্লিউসিসিআিই) ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট নারী উদ্যোক্তাবান্ধব করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে।

সোমবার বিকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিডব্লিউসিসিআই এর সভাপতি সেলিমা আহমাদ এ প্রস্তাব করেন। এনবিআরের সদস্য পারভেজ ইকবাল এতে সভাপতিত্ব করেন।

প্রস্তাবগুলো হলো-নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যক্তিগত আয়কর সীমা চার লাখ টাকা নির্ধারণ, মেশিনারির ওপর কর মওকুফ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক বিক্রয়ের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স মওকুফ। এছাড়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য যেমন শতরঞ্জি, তাঁত, মণিপুর তাঁত, রাজশাহী তাঁত, রাজশাহী ও টাঙ্গাইল তাঁত, কুমিল্লার খাদি, কোমর তাঁত ইত্যাদি পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ ঋণ প্রবর্তন, বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ চলমান রাখা ইত্যাদি।

বিডব্লিউসিসিআই সাবেক প্রেসিডেন্ট সঙ্গীতা আহমেদ বলেন, ভ্যাটকে আমরা ভয় পাই। এনবিআরে উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা একটা হেল্প ডেস্ক করুন। আমি কিছু বুঝি না। একটা গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তা কিভাবে বুঝবে। এসময় তিনি মৌলিক চাহিদার ওপরে ভ্যাট উঠিয়ে নেয়ার প্রস্তাব করেন।

আগামী বজেটে করপোরেট কর ১০ শতাংশ কমিয়ে আগামী পাঁচ বছর তা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) সভাপতি সভাপতি রূপালী চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, যারা কর দিচ্ছেন তাদের ওপর আরও করের হার না বাড়িয়ে করের পরিধি বাড়াতে (করজাল) এনবিআররের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাজেটের আগে এনবিআরের সঙ্গে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু বাজেটে এর প্রতিফলন দেখা যায় না। তাই বাজেটের পর ব্যবসায়ীদের বাধ্য হয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে দৌড়াতে হয়। কিছু কিছু বিষয় এনবিআরকেই সমাধান দিতে হবে।

ফ্যাশন হাউস বিবিআনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিপি খন্দকার বলেন, আমরা দেশীয় পোশাকের ব্যবসা করি। আমদেরও ৪ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এ ভ্যাট নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে মাঝে মাঝেই কথা কাটাকাটি হয়। তাই আমি এনবিআররের কাছে আবেদন করবো যারা দেশীয় পোশাকের ব্যবসা করে তাদের ভ্যাট মওকুফ করা।

(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/জেআর/জেবি)