পুরুষাঙ্গে ইট ঝুলিয়ে নির্যাতন

প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের শরণখোলায় যুবকের পুরুষাঙ্গে ইট ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ দলীয় এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত ৯ এপ্রিল উপজেলার খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর সদস্যরা এই ঘটনা ঘটান। নির্যাতনের কিছু ছবি আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মহিউদ্দিন খান শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির।

শরণখোলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, কয়েক মাস আগে মুঠোফোনে শরণখোলার উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বানিয়াখালি গ্রামের এক কিশোরীর সঙ্গে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের আলাউদ্দিন নামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্রে গত ৯ এপ্রিল সকালে তিনি বানিয়াখালি গ্রামে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এসময় কিছু লোকজন তাকে ধরে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায়।পরে মহিউদ্দিন খান গ্রাম পুলিশ সদস্য ইসমাইল হোসেনকে দিয়ে আলাউদ্দিনের পুরুষাঙ্গে ইট বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে চেয়ারম্যান অর্থের বিনিময়ে ওই যুবককে ছেড়ে দেন।

এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, নির্যাতনের ছবি আজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় সোমবার বিকালেই শরণখোলা থানায় তিনি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় মহিউদ্দিন খান ও তার আট সহযোগীসহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন- বানিয়াখালী গ্রামের আ. রব হাওলাদের ছেলে রেজাউল করিম ও পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামের আবু হানিফ মুন্সীর ছেলে নূর হাসান মুন্সী।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল জলিল ঢাকাটাইমসকে বলেন, পুরুষাঙ্গে ইট ঝুলিয়ে নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া দুজন নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি তার ব্যবহৃত মুঠোফোন রিসিভ করেননি।

(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/জেডএ)