৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি এসআইয়ের গুলিসহ পিস্তল

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৭, ০৮:১২

শাহান সাহাবুদ্দিন, গাজীপুর

গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমনের ভাড়া বাড়িতে চুরি হওয়া পিস্তল, ২৪ রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন গত ৯ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

গত ৯ এপ্রিল কাপাসিয়া থানার পাশে এসআই সুমনের ভাড়া বাড়িতে চুরি হয়। এ ঘটনার পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ দত্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এসআই সুমনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পরে ঘটনা তদন্তে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোহাম্মদ রাসেল শেখকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও চুরি হওয়া পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধারে পুলিশকে তৎপর হতে দেখা যাচ্ছে না।

কাপাসিয়ার সাফাইশ্রী এলাকাসহ রায়েদ, বারিষাব, টোক ও সিংহশ্রী ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন বাসিন্দাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, কাপাসিয়ায় চুরি-ডাকাতির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। কাপাসিয়া থানায় অপর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য ও যথাযথ নজদারির অভাবে চুরি-ডাকাতি ঘটছে বলে তারা জানান।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক তার কর্মস্থলের কাছেই সাফাইশ্রী এলাকায় যে বহুতল ভবনে ভাড়া থাকেন, সম্প্রতি সেখানেও দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল ওই বাড়ির মালিকের কক্ষ থেকে নগদ টাকাসহ লাখ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
কাপাসিয়া থানার ২০০ গজের মধ্যে এসআই সুমন ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন এবং ওসি আবু বকর সিদ্দিকের ভাড়া বাড়িটি কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত।

কাপাসিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একের পর এক চুরি-ডাকাতির ঘটনায় দুশ্চিন্তার পাশাপশি পুলিশের ঢিলেঢালা নজরদারি ও গ্রামাঞ্চলে পুলিশের অপর্যাপ্ত টহল ডিউটিকে দায়ী করছেন কাপাসিয়ার সচেতন মহল।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, এসআই সুমনের চুরি হওয়া পিস্তল ও গুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোহাম্মদ রাসেল শেখ ঢাকা টাইমসকে জানান, এই চুরির ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুব শিগগির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

পুলিশ সুপার বলেন, আইন অনুসারে একজন উপপরিদর্শক (এসআই) তার নিজ নামে বরাদ্দকৃত অস্ত্র বাড়িতে রাখার সুযোগ নেই। এর পরও কেন তিনি অস্ত্র রাখলেন এবং চুরি হওয়ার ঘটনাটি কেন বিলম্বে জানালেন এই বিষয়েও তদন্ত চলছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো গাফিলতি আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করব।

ওসির ভাড়া বাড়িতে চুরির ঘটনায় মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম বলেন, একজন সিভিলিয়ান মাস্টারের বাড়িতে চুরি হওয়া ও ওসির বাড়িতে চুরি হওয়ার মধ্যে বিশেষ কোনো প্রার্থক্য বহন করে বলে আমি মনে করি না। অনেক সময় সুসংরক্ষিত জায়গায় ও চুরি হতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে ওসি ও মানুষ। তথাপি এ রকম ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/মোআ)