বরিশালে অটো-মাহিন্দ্রা শ্রমিকদের ধর্মঘট, ভোগান্তি

বরিশাল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:১০

বরিশালের বানারীপাড়ায় মাহিন্দ্রা চালকদের মারধর ও অটো টেম্পু স্ট্যান্ডের স্থান পরিবর্তন করার প্রতিবাদে জেলার সর্বত্র অটো-টেম্পো ও মাহিন্দ্রা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন।

বুধবার সকাল থেকে ডাকা ধর্মঘটের কারণে বরিশাল নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।

জেলা অটোরিকশা, টেম্পো ও মিশুক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি লিটন মোল্লা বলেন, বানারীপাড়া ভূমি অফিসের সামনে তাদের ৬০ বছরের পুরানো স্ট্যান্ড। আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ না করে পুলিশ চালকদের স্ট্যান্ডে গাড়ি রাখতে দিচ্ছে না। পুলিশ শ্রমিকদের মারধর করায় তারা জেলার সকল স্থানে অটো টেম্পু-মাহিন্দ্রা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।

নগরীর মাহিন্দ্রা চালক সাহেব আলী জানান, বানারীপাড়ায় আমাদের দুই মাহিন্দ্রা চালককে মারধরসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ কারণে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। নগরীসহ জেলার সকল স্থানে মাহিন্দ্রা ধর্মঘট চলছে।

তবে পুলিশ জানিয়েছে, কাউকে মারধর বা আটক করা হয়নি। এটা একটি অজুহাত মাত্র।

বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সাথে। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌরসভা সংলগ্ন একটি জায়গা মাহিন্দ্র ও অটো টেম্পুর জন্য নির্ধারণ করা হয়। এ সিদ্ধান্ত সেসময় মাহিন্দ্র শ্রমিক-মালিকরা মেনে নিলেও এখন তারা উল্টো কথা বলছে আপনাদের কাছে।

তিনি বলেন, এর আগে বানারীপাড়া পৌরসভা এলাকায় একটি দুর্ঘটনার পর মানববন্ধন ও স্থানীয়দের দাবির মুখে পৌরসভার মধ্যে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এতে বাস মালিকরাও বরিশাল-বানারীপাড়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখে। তবে বাস মালিকরা জানায়, আমরা যদি বাস নিয়ে পৌরসভার মধ্যে না যেতে পারি তাহলে মাহিন্দ্রাগুলোও যেতে পারবে না। সে দাবির প্রেক্ষিতে আলোচনা সাপেক্ষে মাহিন্দ্রা ও বাস দুটোই চলাচল বন্ধ রাখা হয় বানারীপাড়া পৌরসভার মধ্যে। রাস্তায় স্টান্ড থাকলে জনসাধারণের ভোগান্তিতো হবেই। তাই জনসাধারণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একারণে বরিশাল-বানারীপাড়া রুটের বাস ধর্মঘটও প্রত্যাহার হয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই বাস চলাচল করছে।

কিন্তু মাহিন্দ্রা চালকরা সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পৌরসভার নির্ধারণ করা স্থানে না গিয়ে পুরানো স্ট্যান্ডে টেম্পো রাখায় পুলিশ তাদের সড়িয়ে দিয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :