মাগুরায় ভুয়া চিকিৎসকের জেল
একসময় তিনি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। এখন পুরোদস্তুর চিকিৎসক। শুধু কী তাই! রীতিমত নিউরো সার্জন। নিয়মিত রোগী দেখতেন মাগুরা শহরের সদর হাসপাতাল পাড়ায় গ্রামীণ ল্যাব নামের একটি প্রতিষ্ঠানে।
বুধবার খোরশেদ আলম নামে এ ধরনের এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে এক বছরের কারাদ- দিযেছে ভ্র্যামমাণ আদালত।
মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্র্রেট দীপক কুমার দেব শর্মার নেতৃত্বে গঠিত ভ্র্যামমাণ আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ কারাদ- দেন। দ-প্রাপ্ত ভুয়া চিকিৎসকের বাড়ি চট্টগ্রামের পাচলাইশ এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুর রহিম। তিনি মাগুরার ওই ল্যাবে বিশেষজ্ঞ নিউরো মেডিসিন চিকিৎসক পরিয়ে নিয়মিত রোগী দেখে আসছিল।
মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. মুন্সী ছাদ উল্লাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ভুয়া পরিচিতির বিষয়ে নানা অভিযোগ উঠে আসছিল। গত কয়েকদিন সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোতে খোঁজ নিয়ে তার ভুয়া পরিচিতির ব্যাপারে তথ্য প্রমাণ মেলে। এমনকি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে দেখা যায় ২০১৩ সালে কুমিল্লার লাঙ্গল কোর্টে ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে ধরা পড়ে জেলে যায় কথিত ওই চিকিৎসক খোরশেদ আলম। এসব তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে তার বর্তমান কর্মস্থল মাগুরা শহরের হাসপাতাল পাড়ায় গ্রামীণ ল্যাব নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক বছরের জেল দিয়ে তাকে মাগুরা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে ভুয়া ওই চিকিৎসকের প্রতিষ্ঠান সদর হাসপাতাল পাড়ার গ্রামীণ ল্যাবে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া চিকিৎসকের সাইনবোর্ডে তার নামের সঙ্গে ঢাকা মেডিডেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপকসহ শিক্ষাগত যোগ্যতায় বিসিএস (স্বাস্থ্য) এমবিবিএস ও এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নিউরো মেডিসিন), এফআরসিপি (লন্ডন) পরিচয় দেয়া। সাইনবোর্ডের পাশাপাশি তার ব্যবস্থাপত্রে এ সব ডিগ্রির উল্লেখ করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/প্রতিনিধি/জেডএ)