সুন্দরগঞ্জে ঝড়ে স্কুল বিধস্ত: খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান
গাইাবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে বেকাটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনসেড ঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। ফলে আকাশে মেঘ দেখলেই শিক্ষার্থীরা বই-খাতা গুছিয়ে নিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে।
২০০৯ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে বেকাটারী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়। টিনসেড ঘরে চলে আসছিল বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম।
গত ১৫ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়টির টিনসেড ঘরটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ না করে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজেই পাঠ গ্রহণ করছে। মেঘ দেখলেই তারা বইখাতা গুছিয়ে নিতে শুরু করে।
বিদ্যালয়টিতে ২৯১ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এরমধ্যে শিশু শ্রেণিতে ৩৮ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৩৭, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৬০, তৃতীয় শ্রেণিতে ৫৯, চতুর্থ শ্রেণিতে ৪৩ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৩২ জন।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার শতভাগ।
সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে পাঠদানের কারণে অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মঞ্জু মিয়া, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী পল্লবী রানী জানায়, কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের বিদ্যালয়টি বিধ্বস্ত হওয়ায় এখন অনেকে আসছে না। কারণ বসার জায়গা নেই, নেই পায়খানা-প্রসাবের ব্যবস্থা। এজন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই সরকারিভাবে পাকা ভবন জরুরিভিত্তিতে নির্মাণ করা দরকার।
এ নিয়ে কথা হয় সহকারি শিক্ষক মহসিনা বেগমের সাথে। তিনি জানান, ভবন না থাকার কারণে ঠিকমত পাঠদান করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ খোলা আকাশের নিচে পাঠদানে শিক্ষা উপকরণের সঠিক ব্যবহার করা যায় না।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন জানান, গত ১৫ এপ্রিল ঝড়ে বিদ্যালয়টি বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে লেখাপড়ায় ভাটা পড়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্তের তথ্য উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)