উ. কোরিয়াকে ভয় দেখাতে যুক্তরাষ্ট্রের মিথ্যাচার

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:২১ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

উত্তর কোরিয়াকে ভয় দেখাতে মার্কিন রণতরী বহরের গতিপথ নিয়ে মিথ্যাচার করেছে মার্কিন প্রশাসন। গত সপ্তাহের প্রথম দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন ঐ সময় মার্কিন প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছিল, মার্কিন রণতরী কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বে যুদ্ধজাহাজের বহর কোরীয় উপদ্বীপ অভিমুখে রওনা হয়েছে। তখন সেই বহর উল্টো দিকে চলছিল এবং ক্রমেই কোরীয় উপদ্বীপ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের পক্ষ থেকে রণতরীর গতিপথ সংক্রান্ত যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তাতে মার্কিন মিথ্যাচার স্পষ্ট হয়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড  জানায়, প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পরিকল্পনামাফিক একটি প্রশিক্ষণপর্ব শেষ করতে হয়েছে কার্ল ভিনসনকে। এখন রণতরীর বহরটি নির্দেশ অনুযায়ী পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দিকে যাচ্ছে।

গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী নিজেদের ওয়েবসাইটে কার্ল ভিনসনের ছবি পোস্ট করে জানায়, রণতরীটি ভারত মহাসাগরের সুন্দা প্রণালী ধরে অগ্রসর হচ্ছে। ওয়েবসাইটটি জানায়, রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কার্ল ভিনসন ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছিল।

অথচ ১০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছিল, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমান্ডার অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস কার্ল ভিনসনসহ রণতরিবহরটিকে উত্তরে অগ্রসর হওয়ার এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের স্টেশনে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন।

১১ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস বলেছিলেন, নির্দেশ মতো কার্ল ভিনসন তার পথেই রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ পরিচালিত উত্তর কোরিয়া পর্যবেক্ষণ-বিষয়ক সংগঠন থার্টি এইট নর্থের বিশেষজ্ঞ জোয়েল উইট বলেন, ‘আপনি যদি তাদের (উত্তর কোরিয়া) হুমকি দেন এবং আপনার হুমকি যদি বিশ্বাসযোগ্য না হয়, তাহলে তাদের ব্যাপারে আপনার নীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুগ যুগ ধরে নানা ইস্যুতে এ ধরনের মিথ্যাচার করে আসছে। ভয়-ভীতি দেখিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয় বলে তারা জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয় এবং নিজেকে অনেক বড় করে তুলে ধরে।

সূত্র: পার্স টুডে

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এসআই)