ফ্রান্সে নির্বাচনের আগে ‘আইএসের’ গুলিতে পুলিশ নিহত

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৭, ০৮:৫৯

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে প্যারিসে আততায়ীর গুলিতে এক পুলিশ নিহত হয়েছেন। পরে পুলিশের গুলিতে সম্ভাব্য হামলাকারীসহ দুইজন আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ সদস্য। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত নয়টার দিকে সেন্ট্রাল প্যারিসের দ্য চ্যাম্পস এলিসি অ্যাভিনিউয়ে এ ঘটনা ঘটে। যদিও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ধারণা, হামলাকারীও পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায়।  

বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে। আকাশে হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে। দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশের একটি টহল দলের ওপর আচমকা এক অস্ত্রধারী গুলি ছুড়লে ওই পুলিশ সদস্য মারা যান। এরপর পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী মারা যায়। শহরের কেন্দ্রে যেখানে গোলাগুলি হয়েছে, পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এলাকা বলে পরিচিত 'দ্য চ্যাম্পস এলিসি' বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওঁলাদ এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকালে নিরাপত্তা ক্যাবিনেটের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তিনি। ঘটনার পরই প্রধানমন্ত্রী বেরনার্ড কাজেনিউভ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাথিয়াস ফেকলকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট। অপরদিকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পিয়েরে হেনরি ব্রান্ডেট বলেন, নিহত পুলিশ কর্মকর্তাকে 'টার্গেট' করে গুলি করা হয়েছে। কিন্তু এই হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কোন ধারণা তিনি দিতে পারেননি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এক ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে এসে পুলিশে বাসের পাশে থামে এবং গাড়ি থেকে নেমেই পুলিশ বাস লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুঁড়তে থাকেন।

এবিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমবেদনা জানিয়ে, জঙ্গিহামলার আশঙ্কার কথাই ব্যক্ত করেন।

ইতিমধ্যেই সন্ত্রাস বিরোধী তদন্ত শুরু হয়েছে। ফ্রান্সে ২০১৫ সালে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে আইএসের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়। ঘটনার সময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীরা শেষবারের মত টেলিভিশনে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরছিলেন। নির্বাচনে ইসলামী জঙ্গিদের প্রতিহত করা এবং ফরাসী নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্ব পাচ্ছে।

এ ঘটনার পর জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে যেতে বলেছে পুলিশ। রয়টার্সের এক সাংবাদিক ওই এলাকা দিয়ে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখেছেন, যা পুলিশি তৎপরতার অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/সিকে/জেএস)