আমের ঝরে পড়া রোধে ব্যস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১০:২৫

আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগানগুলোতে চলছে পরিচর্যার কাজ। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। আমের ভালো ফলনের আশা করলেও কিছুটা চিন্তারও ভাঁজ পড়েছে তাদের মধ্যে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর ফলন ভালো হলেও, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।সেজন্য এবার আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে না দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান বাগান মালিকরা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভোক্তাদের কাছে বিষমুক্ত ও পরিপক্ক আম উপহার দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলেও, আমচাষীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়সেদিকটাও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও আমের ভালো ফলন হবে এমনটাই বলছেন কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার আম বাগানগুলোতে ঝুলছে নানা জাতের বাহারি সব আম। মাস দেড়েক পরই বাজারে উঠবে এসব আম। এবার ভাল মুকুল ও পর্যাপ্ত গুটি আসলেও বৃষ্টির অভাব এবং দিনের গরম এবং রাতে আবহাওয়া ঠাণ্টা হওয়ায় আমে পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। এ নিয়ে আমচাষীরা কিছুটা দুঃশ্চিন্তায় আছেন।

আমবাগান মালিক হাসান আল সাদি পলাশ ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘এবার গাছে প্রচুর আমের গুটি এসেছে। আশা করছি ভাল ফলন হবে। আম ঝরে পড়া রোধে ও পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক স্প্রে করছি।’

আমচাষী নাসিম মাহমুদ ঢাকাটাইমসকে জানান, গত মৌসুমে ফলন ভালো হলেও স্থানীয় প্রশাসন আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ অবস্থায় আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে না দেওয়ার দাবি করেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রচণ্ড খরায় আমের কিছুটা ক্ষতি হলেও বিরূপ আবহাওয়া থেকে আমের ফলন রক্ষার্থে, গাছের গোড়ায় পানি ও বালাই ব্যবস্থাপনার নানা পরামর্শ ও সচেতনতায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমচাষীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া আম চাষীদের প্রশিক্ষণ দেয়াও হচ্ছে।

কৃষিবিদ রোকনুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলছেন, সামনে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বা কোনো বড় ধরনের বিপর্যয় না ঘটলে এবারও আমের ভাল ফলন হবে।

জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ভোক্তাদের কাছে বিষমুক্ত ও পরিপক্ক আম উপহার দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলেও আমচাষীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হবে।

গত বছর এই জেলায় আমের উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিকটন। এ বছর ২৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার পরও উৎপাদন গত বছরের মতই হবে এমনটাই মনে করছেন কৃষি বিভাগ।

ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/এমআর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :