জ্বালানি নেই, গাইবান্ধা হাসপাতালে এক যুগ ধরে জেনারেটর বন্ধ

জাভেদ হোসেন, গাইবান্ধা
 | প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১২:১৪

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের একটি বিশাল আকৃতির জেনারেটর দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অকেজো পড়ে আছে।

জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকায় এটি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জেনারেটরের ব্যাটারিসহ অন্যান্য মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জেলা সদর হাসপাতালে ছোট দুটি জেনারেটর থাকলেও তা পুরো হাসপাতাল এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারছে না। এতে বেশ ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগীদের।

গাইবান্ধার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০০৩ সালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ৪০ কেভির এই জেনারেটর বরাদ্দ দেয়। এতে ব্যয় হয় সাত লাখ টাকা। এছাড়া জেনারেটর রাখার জন্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।

বৈদ্যুতিক সামগ্রীসহ মোট ব্যয় হয় প্রায় ১৫ লাখ টাকা।

জেনারেটরের ক্ষমতা প্রসঙ্গে গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ থেকে জানা যায়, ৪০ কেভির (কিলো ভোল্ট) এই জেনারেটর থেকে ৩২ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এটি চালু থাকলে অপারেশন, এক্সরে মেশিন ও শীতাতপযন্ত্র চালানো ছাড়াও গোটা হাসপাতাল এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

এদিকে জেনারেটর স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল লোডশেডিংয়ের সময় অন্যতম চিকিৎসাকেন্দ্র ১০০ শয্যার এই হাসপাতালের সকল শাখায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। যাতে জরুরি অপারেশন কাজে বিঘ্ন না ঘটে। কিন্তু সরকারিভাবে জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকায় বাস্তবে এটি চালানো যাচ্ছে না। ফলে এটি রোগীদের কোন কাজে আসছে না। এমনকি জেনারেটর চালানোর জন্য লোকবলও নেই।

জেনারেটর তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মকবুল হোসেন বললেন, দুর্বৃত্তরা কয়েকদিন ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙে জেনারেটরের যন্ত্রাংশ চুরির চেষ্টা চালিয়েছে।

জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীনুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, বর্তমানে বেসরকারিভাবে পাওয়া ছোট দুইটি জেনারেটর দিয়ে কোনমত জরুরি বিভাগ ও হাসপাতালের প্রধান ফটকে বাতি জ্বালানো হচ্ছে।

গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. মো. আমির আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, জেনারেটরটি চালাতে প্রতি ঘণ্টায় ১৩ লিটার ডিজেল প্রয়োজন। কিন্তু সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তেল কেনার কোন তহবিল নেই। এমনকি এটি চালানোর জন্য লোকবলও নেই।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জেনারেটর দেয়া হলেও জ্বালানি তেলের বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তবে ডিজেলের বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না।

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :