ভ্রমণের সব তথ্য এক ছাদের নিচে

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:২১ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৪৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কোথায় ভ্রমণে যাবেন। কত টাকা লাগবে। কিভাবে যাবেন। বিদেশ ভ্রমণে গেলে কী কী প্রয়োজন। ভিসা প্রসেস থেকে শুরু করে হোটেল সুবিধা, গাইড, চিকিৎসা সেবা সব তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে এক ছাদের নিচে।

ঢাকায় শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম মেলায় এসব তথ্য জানা যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আয়োজন করেছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।

গতকাল অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেলার সূচনা করা হয়। তিন দিনব্যাপী মেলার দ্বিতীয় দিন আজ। ছুটির দিন হওয়ায় গতকালের চেয়ে আজ ভ্রমণপিয়াসুদের ভিড় ছিল অনেক বেশি। সকালের দিকে মানুষের আনাগোনা কম থাকলেও সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভ্রমণ পিপাসুদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

মেলা ঘুরতে এসেছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘এমন মেলা ঘনঘন আয়োজন করা উচিত। তাহলে এক ছাদের ভেতর সব তথ্য পাওয়া যায়। আজ  বেশ কিছু তথ্য নিয়েছি। বাসায় গিয়ে পর্যালোচনার পর দেখব আমার জন্য কোনটা ভাল হয়।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুহিবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলে, ‘আমরা যারা ভ্রমণপিয়াসু তাদের জন্য এই মেলা একটি বড় সুযোগ। এখানে এসে বিভিন্ন কোম্পানির সুযোগগুলো সহজেই জানতে পারি। এখনও আমার পছন্দের ভ্রমণ প্যাকেজ বাছাই করিনি। এখন শুধু সংগ্রহ করছি। বাসায় গিয়ে বাছাই করব।’

মেলা উপলক্ষে অভ্যন্তরীণ ও কলকাতা রুটের এয়ারটিকেটে ১৫ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স।

নভোএয়ার দিচ্ছে স্মাইলস গ্রাহকদের জন্য অভ্যন্তরীণ সব রুটের টিকেটে ১২ শতাংশ মূল্যে ছাড়।

এয়ার ইন্ডিয়া আকর্ষণীয় প্যাকেজ ছাড়াও দিচ্ছে ১৮ হাজার টাকায় ঢাকা-কুয়ালালামপুর– ঢাকা বিমান টিকিট।

মেডিকল ট্যুরিজম সেবা নিয়ে আসা ব্যাংকক হাসপাতালের প্যাভিলিয়নের মার্কেটিং এক্সকিউটিভ ইমরান হাসান জানান, দক্ষ চিকিৎসক, সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত সেবার কারণে ব্যাংকক হাসপাতালের সুনাম রয়েছে। আমরা হাসপাতালের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকি।

মেলায় ব্যাংকক হাসপাতালে প্যাভিলিয়নের ড. কামরুন নাহার বলেন, ব্যাংকক হাসপাতালে বাংলাদেশিদের জন্য আলাদা ডেস্ক রয়েছে। সেখানে সব ধরনের সাহায্য করা হয়, দোভাষীও থাকেন। আর ঢাকা অফিসে যোগাযোগ করলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের খোঁজ এবং সাক্ষাৎকারের দিন নির্ধারণ করা যায়।

মেলার তথ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, মেলায় ১০টি প্যাভিলিয়ন, ১৮টি মিনি প্যাভিলিয়নসহ ১৪০টি স্টল রয়েছে। মেলায় রয়েছে ১৩টি দেশের ৫০ জন বিদেশি অ্যাক্সিবিউটর।

বিমান বাংলাদেশের ট্যুর ডেভলপমেন্টের সহকারী ব্যবস্থাপক সাইফুদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা, ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকাসহ ছয়টি ক্যাটাগরির টিকিটে মেলা উপলক্ষে ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি। এ প্যাভিলিয়নের টিকিট কিনতে লাইন লেগেই রয়েছে।

মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশমূল্য রাখা হয়েছে ৩০ টাকা। তবে শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। আগামীকাল মেলার শেষ দিন।

ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/জেআর/এমআর