চলে গেলেন লাকী আখান্দ

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৫৮ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭, ২০:৪৫

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের ব্যান্ড সংগীতের পুরোধা শিল্পী লাকী আখান্দ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যূকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

লাকি আখান্দ দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। গত প্রায় আড়াই মাস তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৭ এপ্রিল আরমানিটোলার নিজ বাসায় ফিরে যান কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী। আজ সন্ধ্যায় সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বরেণ্য এ শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিএসএমএমইউর সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে অধ্যাপক নেজামুদ্দিন আহমেদের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এর আগে ছয় মাসের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ দেশে ফেরেন তিনি। সেখানে কেমোথেরাপি নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছিল তার। একই বছরের জুনে আবার থেরাপির জন্য ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে পরে আর তার সেখানে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।

অসুস্থতার প্রথম থেকেই লাকী আখান্দ ও তার পরিবার কোনো রকম আর্থিক সহযোগিতা গ্রহণের বিষয়ে বেশ কঠোর ছিলেন। দেশের শীর্ষ শিল্পীদের উদ্যোগে সহযোগিতা করতে চাইলেও বিনয়ের সঙ্গে লাকী আখান্দ  তা নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় ভালোবাসা হিসেবে সেটি তিনি গ্রহণ করেন।

লাকী আখান্দের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে  ‘এই নীল মনিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামনিয়া,  ‘লিখতে পারি না কোনও গান’ প্রভৃতি।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে লাকী আখান্দের। এরপর থেকে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে গেছেন তিনি।

লাকি আখান্দের ছোট ভাই হ্যাপী আখান্দও ছিলেন আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী।  ১৯৮৭ সালে অকাল প্রয়াণ ঘটে তার। হ্যাপীর মৃত্যুর পর  অনেক দিন সংগীত জগৎ থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকেন লাকী।  এর আগে ১৯৮৪ সালে সারগাম থেকে লাকীর প্রথম অ্যালবাম বের হয় হয়।

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/এমইউ/মোআ)