শারীরিক সম্পর্ক গড়ে বিয়েতে অস্বীকৃতি, জামায়াত নেতাকে ধোলাই

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৭, ২০:১৮

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে স্কুলছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোয় গণধোলাইয়ের স্বীকার হয়েছেন আমির হোসেন নামে এক জামায়াত নেতা। তিনি স্থানীয় কৃঞ্চানন্দবকসী জামে মসজিদের ঈমাম ও চর-গোরকম-ল ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারত সীমান্তবর্তী কৃঞ্চানন্দবকসী গ্রামে। ওই জামায়াত নেতা বিবাহিত থাকার পরও ওই কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, আমির হোসেন চার সন্তানের জনক। কোরআন শিক্ষার কথা বলে দশম শ্রেণি পড়–য়া এক কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই জামায়াত নেতা। তিন বছর ধরে সম্পর্ক চলছিল তাদের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার আমির হোসেনকে নিয়ে স্কুলছাত্রীটি পাশের গ্রামে এক স্বজনের বাড়িতে যায়। সেখানে ওই কিশোরী জামায়াত নেতাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এনিয়ে দুজনের মধ্যে শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। এক পর্যায়ে আশপাশের জনতা এসে জামায়াত নেতা আমির হোসেনকে আটক করে গণধোলাই দেয়।

বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার জামায়াতের সদস্যরা সংগঠিত হয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পওে উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারমান রফিকুল ইসলাম ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ও অনির উদ্দিন বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদের জিম্মায় নিয়ে আসেন  জামায়াত নেতাকে। আর স্কুলছাত্রীটিকে চর-গোরকম-ল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুরের মাধ্যমে পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়।  

ঘটনার শিকার স্কুলছাত্রীটি ঢাকাটাইমসকে বলে, ‘সংসারে অশান্তির কথা বলে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে আমির ভাই। বিয়ের আশ^াস দিয়ে তিন বছর ধরে চলে সম্পর্ক। ওকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করবো।’

এ ব্যাপারে উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, ‘যেহেতু আমি তাকে জিম্মায় নিয়ে এসেছি, অবশ্যই এ অনৈতিক কাজের বিচার করা হবে।’

জানতে চাইলে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। কেউ অভিযোগ করলেই পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি