মধ্য রাস্তায় বিকল হয়, ভাড়াও ফেরত দেয় না

প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:০০ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৩০

মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ থেকে

ঢাকার সাভার থেকে শিবালয়ের উথুলী যেতে ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৩২৮৫ নম্বরের বিআরটিসি বাসে উঠেছিলেন হাশেম আলী। মানিকগঞ্জ জেলা কারগারের সামনে পৌঁছতেই বাসটি বিকল হয়ে যায়। এ সময় বাসের মধ্যে মানিকগঞ্জ, বানিয়াজুরী, মহাদেবপুর, বরংগাইল, টেপরা, উথুলী, আরিচা ও পাটুরিয়াগামী যাত্রীতে ভরপুর ছিল। বাস বিকল হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের ভাড়া ফেরত না দিয়েই নামিয়ে দেন চালক ও সহাকারী।

মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার গুলিস্তান পর্যন্ত চলাচলকারী বাসে এই ধরনের ভোগান্তি ঘটে নিয়মিতই। বাস বিকল হয়ে পড়ায় রাস্তার মধ্যে বিপাকে পড়ে যাত্রীরা। তখন বিকল্প বাসে উঠে তাদেরকে গন্তব্য পৌঁছতে হয়। কিন্তু ফেরত দেয়া হয় না ভাড়া।

ভুক্তভোগী যাত্রীদের একজন সোহরাব হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিআরটিসি বাসগুলো দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ায় প্রায়ই বিকল হয়ে যায়। এছাড়া বাসের মান এতটাই খারাপ যে বলে শেষ করা যাবে না। প্রায় বাসের ভেতরের আসনের গদি ছেড়া, ফ্যান চলে না, জানালা ভাঙা। ভেতরের পরিবেশ এতটাই খারাপ যে জামা-কাপড় ময়লা হয়ে যায়।

বাসটিতে থাকা আরেক যাত্রী বলেন, ‘বাসের চালক, হেলপারের ব্যবহার খারাপ। রাস্তা থেকে যাত্রী তুলে এবং ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তারা। মাঝে মাঝে যাত্রীদের সঙ্গে মারপিটের ঘটনাও ঘটে।’

তবে যাত্রীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিআরটিসি বাসের চালক ও সহকারীরা। তবে বাসের ইজারাদারদের কেউ কেউ বলেছেন, যাত্রীদের এমন অভিযোগ তারাও শুনেছেন। কিন্তু চালক ও সহকারী বিআরটিসির নিয়ন্ত্রণে থাকায় অনেক সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না।

মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক জুয়েল মাহবুব জানান, ‘আরিচা ও পাটুরিয়া থেকে ঢাকার গুলিস্তানগামী লক্কর ঝক্কর বিআরটিসির বাসে ভোগান্তি কমাতে প্রথমত সরকারকে ইজারা প্রথা বাধ দিতে হবে।’ তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে বিআরটিসি ইজারা দেওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ইজারা প্রথা বাদ দিয়ে সরকারি লোক দিয়ে বিআরটিসি নিয়ন্ত্রণ করলে জনদুর্ভোগ থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।

বিআরটিসির ইজারাদার মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল রহিম খান বলেন, ‘বিআরটিসি বাসে উঠে মানুষের যে দুর্ভোগ হয় তা সহ্য করা যায় না। কিন্তু সরকারিভাবে বিআরটিসি বাস ইজারা না দেয়ায় আমরা আনতে পারছি না।’ তিনি বলেন, বিআরটিসি আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থেকে চালক ও সহকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা বাড়ছে।

ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি