রায়পুরায় নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ৫ মামলা

প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:৪৩

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নরসিংদীর রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তার নিয়ে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। তবে হত্যার মামলা দায়ের হয়নি। রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

অপর হত্যা মামলাটি রুজু না হবার কারণ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাহেদ সরকার।

গত ১৯ এপ্রিল দিনব্যাপী বন্ধুক ও টেটাযুদ্ধ হবার পর থেকে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল হক ও সাবেক চেয়ারম্যান সাহেদ সরকারের পক্ষের দু’জন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নরসিংদী জেলা হাসপাতালে এবং অপরজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান সাহেদ সরকার এ প্রতিদেককে বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। জন্ম থেকেই আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে প্রাণে লালন করি। সারাটা জীবন আওয়ামী লীগের পাশে থেকেছি। বর্তমানে এই আমিই আজ  আওয়ামী লীগের এমপির রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে লাঞ্ছিত বঞ্চিত ও অবহেলিত।

আমার জানা মতে, আইনত কোন মানুষ খুন হলে কেউ অভিযোগ করুক আর নাই করুক, পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করার কথা। শারফিন হত্যার চার দিন পার হলেও পুলিশ কেন কোন মামলা রুজু করেনি?

সরেজমিনে জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনে বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন থেকে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী বিএনপি নেতা সিরাজুল হক নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করার জন্য মনোনিত করা হয়। এতে স্থানীয় প্রবীণ ও ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। অবশেষে আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সাহেদ সরকার নৌকা প্রতীক পান। এতে সিরাজুল হক বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে জয়ী হতে পারেনি সাহেদ সরকার। জয় পান বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল হক। তারপর শুরু হয় নির্বাচনোত্তর সহিংসতা।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সাহেদ সরকার তার সমর্থক এলাকায় উঠতে শুরু করলে সিরাজুল হক ও সমর্থকরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের প্রতিহত করতে নেমে পড়েন। পরে এই সংঘর্ষ হয়। এঘটনায় দুই জন নিহত হন।

একজন নিহত হবার ঘটনায় একটি খুনের মামলা রুজু হলেও অপর খুনের মামলা রুজু হয়নি। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। পাহারায় রয়েছে ৮০ জন দাঙ্গা পুলিশ সদস্য। তারপরও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)