হাকালুকির পানি স্বাভাবিক হয়েছে তবে নিষেধাজ্ঞা বহাল

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:৫৫ | প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:৪৫

মৌলভীবাজার হাকালুকি হাওরের পানিতে কোনো বিষ নেই। পানি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। ধান পচে যে অ্যামোনিয়া গ্যাস সৃষ্টি হয়ে মাছ মরেছিলো সে অবস্থা এখন কেটে গেছে। তবে, পানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেও হাওরে মাছ ধরা ও মাছ খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কয়েকদিন বহাল থাকবে।

শনিবার বিকেলে জেলা মৎস্য অফিসের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আ স ম শফিক উজ জামান।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা পানির বর্তমান অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে বলেন, বর্তমানে হাকালুকির পানির পিএইচ ৭.৫, দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ ৫.৯ পিপিএম, অ্যামোনিয়া ০.০২ পিপিএম ও টিডিএস -৬০। তিনি বলেন, পানির এ মাত্রাই স্বাভাবিক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অ্যামোনিয়া বেড়ে গিয়ে হাওরের মাছের যে ক্ষতি হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছের পোনা অবমুক্ত করে তা পুষিয়ে নেয়া হবে। এ ছাড়াও হাওরপারের তিন উপজেলায় মৎস্যজীবী আইডি কার্ডধারী ৪ হাজার মৎস্য চাষিকে সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কাছাকাছি সময়ে হয়তো অনুদান আসতে পারে।

সম্প্রতি ভারী বর্ষণে মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর জুড়ে তলিয়ে যাওয়া ধান পচে গ্যাস তৈরি হয়। কালো ও ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণ করে বিষাক্ত হয় হাওড়ের পানি। মারা যায় শত শত টন মাছ। মরা মাছ ও পানি খেয়ে মরে যায় তাদের বিকল্প জীবিকায়নের প্রাণী হাঁস ।

অন্যদিকে কৃষি ও মৎস্যজীবীরা বিপাকে পড়েছেন হাওর থেকে সংগৃহিত গো-খাদ্য নিয়েও। হাওরের কোনো ঘাসই তারা গবাদি পশুর জন্য কাটছেন না।

বিশাল এই হাওর পাড়ে হাজার হাজার পরিবারে রয়েছে কয়েক লাখ গবাদি পশু। আর এ গবাদি পশুর খাবার সংগ্রহ করা হয় হাকালুকি হাওর থেকেই। হাওরের পানিতে মরা মাছ খেয়ে হাঁস মারা যাওয়ার পর গবাদি পশুর জন্য হাওরের ঘাস তারা এড়িয়ে চলছেন।

এ দিকে হাওরে মাছ মরার এ ঘটনাটি তদন্ত করতে ঢাকা থেকে মৎস্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম হাকালুকি হাওর পরিদর্শন করেন। এ ছাড়াও এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত টিম কাজ করছে।

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/প্রতিনিধি/ইএস/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :