বিসিবি ও ঢাকার ক্লাব থেকেই বছরে ২ কোটি আয় মুশফিকদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৫৬ | প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৫৩

তারকা ক্রিকেটারদের টাকাই টাকা। জাতীয় দল ও ঢাকার বিভিন্ন লিগে খেলে বছরে দুই কোটি টাকা আয় করতে পারবেন ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরির একজন ক্রিকেটার। খেলোয়াড়দের দাবি মেনে শনিবার বিসিবির সভায় জাতীয় ক্রিকেটারদের বেতন বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে ম্যাচ ফি ও বোনাস।

নতুন বেতন কাঠামোতে ‘এ’প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটারের বেতন বছরে ৪৮ লাখ। বেতনের চেয়ে বেশি অর্থ আসবে ম্যাচ ফি থেকে। আগে টেস্টে ম্যাচ ফি ছিল দুই লাখ টাকা। সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা।ওয়ানডেতে এক লাখ থেকে বাড়িয়ে দুই লক্ষ টাকা করা হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ ফি ৭৫ হাজার টাকা বেড়ে হয়েছে এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।

ম্যাচ ফির সঙ্গে বেড়েছে বোনাসও।র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিন দলের কাউকে হারালে বোনাস ৩ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার মার্কিন ডলার।‌ চার থেকে ছয় নম্বর দলকে হারালে বোনাস ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ডলার, সাত থেকে নয় নম্বর দলকে হারালে দেড় হাজার থেকে বেড়ে আড়াই হাজার ডলার।

ওয়ানডেতে শীর্ষ তিন দলের কাউকে হারাতে পারলে বোনাস থাকছে আড়াই হাজার ডলার। চার থেকে ছয় নম্বরে থাকা দলকে হারানোর জন্য ১ হাজার থেকে বেড়ে ২ হাজার ডলার, সাত থেকে নয় নম্বর দলকে হারালে ৫০০ ডলারের জায়গায় ১ হাজার ডলার।টি-টোয়েন্টিতে এই বোনাস যথাক্রমে দেড় হাজার, ১ হাজার ও ৮০০ মার্কিন ডলার।

নতুন এ বেতন, ম্যাচ ফি ও বোনাস সুবিধা ক্রিকেটারদের বছরে দুই কোটি টাকা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এক ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে জাতীয় দল তিন ফরম্যাট মিলে কমপক্ষে ২৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে। বছরে ৮টি টেস্ট খেললে সেখান থেকে একজন ক্রিকেটারের মোট ম্যাচ ফি আসবে ২৮ লাখ টাকা। ১২টা ওয়ানডে খেললে ২৪ লাখ টাকা। আটটি টি-টোয়েন্টি খেললে পাবেন ১০ লাখ টাকা।

মানে বছরে ম্যাচ ফি থেকে ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরির একজন ক্রিকেটার ৬০-৬৫ লাখ টাকা পাবেন। সঙ্গে বেতন ৪৮ লাখ। এরসঙ্গে আছে বোনাস। সব মিলিয়ে বিসিবি থেকেই বছরে এক থেকে দেড় কোটি টাকা আয় হবে শীর্ষস্থানীয় একজন ক্রিকেটারের।

এতো গেল বিসিবি থেকে আয়ের পরিসংখ্যান। ঢাকার ক্লাব ও ফ্রাঞ্চাইজি থেকেও কোটি টাকা আয় করে থাকেন জাতীয় দলের ক্রিকেদাররা। বিপিএল খেলে পান ৩০-৪০ লাখ টাকা। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ থেকে সিনিয়র ক্রিকেটাররা ৪০-৫০ লাখ টাকা আয় করে থাকেন। আছে লঙ্গারভার্সন ক্রিকেট লিগ। এ লিগে খেললে লাখ বিশেক টাকা পেয়ে থাকেন শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারারা।

এর বাইরে স্পন্সর থেকেও প্রচুর টাকা আয় করেন তারকা ক্রিকেটাররা। মাশরাফি, সাকিবরা বহু প্রতিষ্ঠানারেই মডেল ও ব্র্যান্ড আম্বাসাডর।

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/ডিএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :