এই পানি কোনো বাঁধ আটকাতে পারতো না: মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:২৩ | প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৫৩

হাওর এলাকায় যে পরিমাণ পানি এসেছে, সেটি কোনো বাঁধের পক্ষেই আটকে রাখা সম্ভব হতো না বলে দাবি করেছেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, হাওরে বাঁধ দেয়া হয় সাড়ে ছয় মিটার উঁচু। কিন্তু এবার পানি এসেছে আট মিটারেরও বেশি।

রবিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পানিসম্পদ মন্ত্রী।

চলতি মাসের শুরু থেকেই হাওর অধ্যুষিত সিলেট বিভাগের চার জেলা, বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওর এলাকা অকাল বন্যায় ডুবে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে বিস্তীর্ণ হাওর এলাকার ৯০ শতাংশই ডুবে যায়। ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যায় চাষি। সেই সঙ্গে শুরু হয় মাছের মড়ক, মরতে শুরু করে হাঁসও।

শুরু থেকেই কৃষকরা অভিযোগ করে আসছেন, বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারদের গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যায়নি পানির ঢল।

তবে মন্ত্রী বলছেন বাঁধ নির্মাণে দুর্ণীতির অভিযোগের এখন পর্যন্ত প্রমাণ তারা পাননি। তিনি বলেন, ‘বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে দুর্নীতির বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত কাগজে-কলমে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।’

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘বাঁধ ভাঙার কারণ দুইটি। একটি হচ্ছে বন্যা। অন্যটি দুর্নীতি। দুইটি ভিন্ন বিষয়। আমরা যে বাঁধগুলো করি সেগুলো ফুললি প্রোটেকশনের জন্য নয়। এগুলো সেফটি মেইনটেইন করে।’

সিলেটের সাম্প্রতিক সময়ের বন্যাকে ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এবারের মতো ব্যাপক আকারের বন্যা কখনও হয়নি। এই বন্যা কোনভাবেই বাঁধ ঠেকাতে পারবে না। কারণ বাঁধের উচ্চতা হচ্ছে সাড়ে ছয় মিটার। আর পানির উচ্চতা হচ্ছে ৮ দশমিক ১ মিটার। সুতরাং বাঁধা কোনোভাবেই এই পানি প্রোটেক্ট করতে পারবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘গত চারদিনের হাওর এলাকার পানি প্রকট আকারে বাড়ছে। আমরা চাইলেও এই বন্যা এড়াতে পারতাম না।’

গত বছরের বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর বাঁধা নির্মাণের কাজ বুঝিয়ে না দেয়ার কারণে অর্ধেক বিল পরিশোধ করা হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সারাদেশে ৮২০টি বাঁধ সংষ্কারের জন্য চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫২০টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষের দ্বারা। মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় কৃষকরা নৌকায় করে ধান নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধ কেটে ফেলে। এটাও একটা সমস্যা।’ তিনি বলেন, ‘৪০টি নদীর মুখে বাঁধ থাকে, যেগুলো ভেঙে দিতে হয়। ২৭০টি জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত নদী ঠিক করতে হয়। বাঁধের এই ক্ষতি আমরাও করি, এবং করতে বাধ্য হই।’

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/এমএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস স্থাপন ও জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা

অনলাইন নিউজপোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালা বাস্তবায়ন হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বুধবার

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির

দাবদাহের মধ্যে বৈশাখের প্রথম ঝড়ে সিক্ত রাজধানী

বাংলাদেশের সমৃদ্ধির সহায়তায় দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস

ভোজ্যতেলে পূর্বের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সমৃদ্ধিতে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

সারাদেশে তাপপ্রবাহ, গরমের দাপট কমবে কবে? কী বলছে আবহাওয়া দপ্তর?

রহস্যে ঘেরা মুক্তিপণকাণ্ড!

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :