শিশু ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষককে গণধোলাই

প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরে দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (৮) যৌন হয়রানির অভিযোগে মোরশিদুল আলম (২৫) নামে এক শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর নূরিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযুুক্ত ওই শিক্ষককে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

মোরশিদুল আলম ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া এলাকার বাসিন্দা।

যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রীর অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সহকারী শিক্ষক মোরশিদুল আলম মাদ্রাসার একটি কক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে একা পেয়ে নগ্ন করে মুঠোফোনে ছবি তুলেন এবং বিভিন্নভাবে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন। ঘটনাটি কিছু শিক্ষার্থী দেখে ফেললে মাদ্রাসা এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টির একপর্যায়ে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে ওই শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম মোরশিদকে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গন্ধব্যপুর নূরিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আমির হোসেন জানান, ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক মোরশিদুল আলম থানা হেফাজতে রয়েছেন। ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/প্রতিনিধি/ইএস)