১০১ বছরে বৃদ্ধার দৌড়ে সোনা জয়

ইচ্ছে থাকলে বয়সও যে হার মানতে বাধ্য সেটা মান কাউরকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই! ১০১ বছর বয়সে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি প্রমাণ করে ছেড়েছেন ‘এজ ইজ নট অ্যা ম্যাটার, ইফ দেয়ার ইজ উইল’।

ওয়ার্ল্ড মাস্টারস গেম-এর আয়োজন করা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা ১০১ বছর বয়সী বৃদ্ধা মান কাউর। দৌড় যখন শুরু হয়, সবাইকে তাক লাগিয়ে ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে যান কাউর। এই কৃতিত্বের জন্য নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমগুলো তো কাউরকে নিয়ে বেশ হইচই শুরু করে দিয়েছে। তাকে ‘মিরাকল অব চণ্ডীগড়’ বলেও ডাকা শুরু হয়ে গিয়েছে।

তবে এখানে বলে রাখা দরকার, ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০০ বছরের বেশি বয়স ক্যাটাগরিতে মান কাউর-ই একমাত্র প্রতিযোগী ছিলেন। হোক না একমাত্র প্রতিযোগী, ১০০ মিটার স্প্রিন্ট এত কম সময়ে আর ১০১ বছর বয়সে সেই দৌড় শেষ করা কম কথা নয়। ৬০-৭০ বছর বয়সেই যখন বেশির ভাগ মানুষই জবুথবু হয়ে পড়ে, সেখানে কাউরের এই কৃতিত্ব অনেককেই উৎসাহ দেবে।

দৌড় শেষ করার পর কাউরের চোখে-মুখে বিজয়ের হাসি ফোটে। তিনি উচ্ছ্বাসিত ভঙ্গিতে ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। পরিবারের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে অভিনন্দন জানান। কাউরকে গলায় যখন স্বর্ণপদক পরিয়ে দেয়া হয়, তখন খুশিতে আত্মহারা হন তিনি।

দৌড় শেষে কাউর বলেন, ‘দারুণ উপভোগ করেছি। খুব খুশি। আমি আবার দৌড়াবো। হাল ছাড়ব না।’ সময় নয়, কউরের কাছে অংশগ্রহণ করাটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠেরা। এই প্রথম নয় ৯৩ বছর বয়সেও দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন মান কাউর। তখন তার ছেলে গুরদেব সিং ওয়ার্ল্ড মাস্টারস-এ নাম নথিভুক্ত করিয়ে দেন।

সূত্র: আনন্দবাজার

(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/এসআই)