বৃষ্টির মত বর্ষার খোঁড়াখুঁড়ির ভোগান্তিও এলো আগেভাগে

জহির রায়হান, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০১৭, ০৮:১৬ | প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল ২০১৭, ০৮:১০

বর্ষার বৃষ্টি এবার এসেছে গ্রীষ্মেই। সেই সঙ্গে আগেভাগেই এসেছে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ভোগান্তি। এবার বর্ষা আসার আগেই খোঁড়াখুঁড়ি শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হলেও প্রকৃতির খেয়ালে লাভ হলো না নগরবসী। বিভিন্ন এলাকায় খুঁড়ে রাখা মাটি কাদা হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে আশেপাশে।

আবার বিভিন্ন সড়কে পানির কারণে তৈরি হয়েছে খানা খন্দের। আর যেসব সড়ক আগে থেকেই ভাঙা ছিল, সেগুলোর গর্ত বড় হয়েছে আরও। ফলে এসব ভাঙা সড়ক ধরে চলাচল করা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

মিরপুর ইসিবি চত্ত্বর থেকে মানিকদি বাজার যাওয়ার রাস্তাটিতে সৃষ্টি হওয়া গর্তে পানি জমে থাকায় ঝামেলায় পড়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা আসলাম হোসাইন ঢাকাটাইমসকে বলেন, এমনিতেই রাস্তাটি ভাঙা এর পর বৃষ্টিতে পানি জমে থাকায় চলাচলে করতে অনেক সমস্যা হয়। এ রাস্তায় রিক্সায় তো চলাই যায় না। অটোতে করে যাওয়া হয়। তাও ভয়ে থাকি কখন অটো উল্টে পড়ে।’

আসলাম বলেন, ‘আগে সাধারণত বর্ষায় এমন দুর্ভোগ পোহাতে হতো। আর এখন গ্রীষ্মেই শুরু হয়েছে বর্ষার দুর্ভোগ।’

বিমানবন্দরের স্টেশন থেকে দক্ষিণখান হয়ে কাঁচকুড়াবাজারে যাওয়ার রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা শরীফ হোসেন বলেন, ‘এই এলাকায় বড় বড় বিল্ডিং হচ্ছে। এর ফলে ইট, সিমেন্ট, বালু নিয়ে প্রতিনিয়তই ট্রাক ঢোকে এ রাস্তায়। এতে করে রাস্তা দেবে যায়। তার উপর বৃষ্টির পানিতে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের।’

রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে মধ্য পীরেরবাগ যাওয়ার রাস্তাটি এমনিতেই ভাঙা। তার ওপর বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে অসহনীয় দুর্ভোগের। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘পানি জমে থাকায় কারণে আগে যেখানে ১০-১৫ টাকায় মধ্য পীরেরবাগ থেকে রিকশায় শেওড়াপাড়ায় আসা যেতো, এখন সেখানে লাগছে ২০ টাকারও বেশি।’

একজন রিকশাচালক বলেন, ‘এই রোড দিয়া দুই জন নিলে গাড়ি চালাইতে খুব কষ্ট অয়। প্যাডেল সামনেই যায় না। ঠেইল্যা ঠেইল্যা চালাইতে হয়।’

পরীবাগ থেকে হাতিরপুল যাওয়ার রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে কয়েকটি গর্তের। ভুতের গলি মসজিদের কাছেও দেখা গেছে কয়েক জায়গায় গর্তের। পথচারী কলেজ পড়ুয়া রেহমান সাবিদ বলেন, ‘একটুর জন্য আমি গর্তে পড়ে যাইনি। পাশে থেকে বন্ধু হাতটি ধরেছিল বলে বাঁচলাম।’

রামপুরা থেকে বসুন্ধরা পর্যন্ত সড়কে আবার শুরু হয়েছে খোঁড়াখুঁড়ি। বড় বড় পাইপ বসানো হচ্ছে। আর এক পাশে খুঁড়ে রাখা হয়েছে সড়ক, অন্য পাশে রাখা হয়েছে পাইপ। দুইয়ে মিলে তিন লেনের সড়ক হয়েছে এক লেন। ভোগান্তি কেমন, সেটা সহজেই অনুমেয়।

তবে এসব সড়কের ভোগান্তি যেন কিছুই নয় মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, শহীদবাগ এলাকার তুলনায়। ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ চলার পর থেকে তিন বছর ধরে বর্ষা মানে এক দুঃসহ সময় এই এলাকার বাসিন্দা বার পথচারীদের জন্য। এবার বৃষ্টির মৌসুম আগেভাগেই এসেছে বলে ভোগান্তিও এসেছে আগেই।

(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/জেআর/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

তীব্র তাপপ্রবাহে জনসাধারণের মাঝে পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ বিএনপির

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে: সালাম

ঢাকা মেডিকেলে এক কারাবন্দিকে মৃত ঘোষণা

ভাষানটেকে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫, বাকি একজনও আশঙ্কাজনক

মুগদা-মান্ডা সড়কে অভিযান: ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ  

মোহাম্মদপুরে তিতাসের এমডির বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজধানীতে থাকবে না ফিটনেসবিহীন বাস, জুন থেকে মাঠে নামছে বিআরটিএ

আজ ৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায়

গরমে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতা সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি ডিএমপির

স্থপতি ইনস্টিটিউটে মসজিদ স্থাপত্য নিয়ে সেমিনার 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :