খুলনার আধুনিক রেল স্টেশন চালু হতে পারে জুনে

খুলনা ব্যুরো প্রধান, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০১৭, ১১:৪৯ | প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল ২০১৭, ১১:০৭

কাজের মেয়াদ শেষ, তবুও সম্পন্ন হয়নি খুলনা আধুনিক রেল স্টেশন নির্মাণ। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল কাজ শেষ হওয়ার সময়। কিন্তু এখনো প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরও দুই মাস লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কাজ শেষ হলেই চালু হবে খুলনার আধুনিক রেল স্টেশন।

প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ১নং প্লাটফর্মের স্থানে লোকোসেড এবং দোকান ঘর থাকা, ডিজাইনসংক্রান্ত সমস্যাসহ নানা জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৭৫-৭৮ শতাংশ কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু ১নং প্লাটফর্মের ফ্লোর ও ছাদ ঢালাই, ২নং প্লাটফর্মের ৪০০ ফিট এবং ৩নং প্লাটফর্মের সাড়ে ৫০০ ফিট ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বাকি রয়েছে। এছাড়া মূল ভবনের অডিটোরিয়ামের ছাদ, প্লাটফর্ম লিঙ্কসহ কার পার্কিং এলাকা, ফুটপাতসহ রাস্তার কাজ বাকি রয়েছে। আর মূল স্টেশন ভবনের ফিনিসিং কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ করার জন্য আগামী জুন মাস পর্যন্ত সময়ের প্রয়োজন হবে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার আহম্মদ উল্লাহ জানান, লোকোসেড ও দোকান ঘর অপসারণে দেরি হওয়ায় ১নং প্লাটফর্মের কাজ শুরু করতে সময় লাগছে। এছাড়া রয়েছে প্রকল্পের ডিজাইনে সমস্যা। যে কারণে প্রকল্পের কাজ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭৬ থেকে ৭৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

যশোর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বিরবল মন্ডল জানান, খুলনা আধুনিক রেল স্টেশনের নির্মাণ কাজ নানা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্পে মেয়াদ বেড়ে আগামী জুন মাস পর্যন্ত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই সব কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদী।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, আধুনিক রেল স্টেশনটি নির্মিত হবে উন্নত বিশ্বের আদলে। এ স্টেশনে থাকবে দৈনন্দিন সব সুযোগ সুবিধা। প্রকল্পের আওতায় প্লাটফর্ম লিঙ্কসহ কার পার্কিং এলাকা, ফুটপাতসহ রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বাউন্ডারি দেওয়াল, স্যানিটারি ও প্লাম্বিং ওয়ার্কস, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, পিএবিএ চ্যানেল ও সব বৈদ্যুতিক সংযোগ। থাকবে ফুলের বাগান। নকশা অনুযায়ী খুলনা-যশোর মহাসড়কের পাশেই হবে স্টেশনের প্রধান গেট। এছাড়া রেলের লাইন হবে সাতটি। রেল স্টেশনের প্লাটফর্ম হবে তিনটি এবং স্টেশন ভবন হবে তিন তলা বিশিষ্ট। নকশা অনুযায়ী স্টেশন ভবনের আকার হবে দৈঘ্য ৪৮ মিটার ও প্রস্থ ৪৫ মিটার এবং প্রতিটি প্লাটফর্মের দৈর্ঘ্য ১২০০ ফুট ও প্রস্থ ৩০ ফুট হবে। এতে ব্যয় হবে ৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এ কাজের (প্যাকেজ ডব্লিউডি-২) ঠিকাদারি পেয়েছে তমা কনস্ট্রাকশন। তবে এ প্রকল্পের জন্য চার কোটি টাকার ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবনা রয়েছে।

সূত্রমতে, ২০০৭ সালে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার রেলস্টেশন আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেন। ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৫ সালের ৪ মার্চ ঠিকাদার নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এরপর মার্চেই প্রকল্প এলাকায় আনা হয় নির্মাণ সামগ্রী। ওই বছরের এপ্রিলে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/এসএএইচ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :