মন্দির-শ্মশানের জমি দখলের প্রতিবাদ
গাজীপুরের শিববাড়িতে ভাওয়াল রাজাদের নির্মিত প্রাচীন ইন্দ্রেশ্বর শিবমন্দির ও মহাশ্মশানের জমি জবর দখলের প্রতিবাদ এবং দখলকৃত সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে মন্দির প্রাঙ্গণে ইন্দ্রেশ্বর শিবমন্দির মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ কুমার দাস।
এসময় তিনি অভিযোগ করেন, ১২৯২ সালে ভাওয়াল রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ শিববাড়ির শিবমন্দির ও মহাশ্মশানটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার পিতার নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে ধর্মীয় কাজ এবং সাধারণের শবদাহের জন্য তিনি পুকুরসহ সিএস/এস,এ ৪৬৩/৪৬৪ এবং আর এস ৮০২/৮০৩ দাগে ১ দশমিক ৩২ একর জমি দান করেন। কিন্তু ভাওয়াল রাজার দেয়া এ দেবোত্তর সম্পত্তি মন্দিরের নামে থাকার পরও কতিপয় ভূমিদস্যু অর্থের বিনিময়ে কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ এস্টেটের কর্মচারীদের সহায়তায় পর্চা জাল করে। পরে ওই সম্পত্তিকে গড় লায়েক পতিত সম্পত্তি দেখিয়ে লিজ দেয়া হয়। বর্তমানে ভূমিদস্যু চক্রটি জমি জবর দখল ছাড়াও ওই পুকুরে বহুতল ভবন নির্মাণের পাঁয়তারা করছেন। সমস্যা সমাধানের জন্য তৎকালীন পৌর মেয়র আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও অদৃশ্য হস্তক্ষেপে সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি।
এ অবস্থায় এসব দেবোত্তর সম্পত্তির প্রায় ৮৫ শতক জমি ভূমি দস্যুদের হাতে জবর দখল হয়ে আছে। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও মহাশ্মশানের জমি জবর দখল মুক্ত করে মন্দিরের জমি মন্দিরের কাজে ফিরিয়ে দিতে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের উপদেষ্টা রনজিৎ দাস, যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জিব রায় তপন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক দীপঙ্কর দাসসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন