টমছম ব্রিজ ইপিজেড রোডে নিত্যই চুরি

প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০৮:৩১

মাসুদ আলম, কুমিল্লা

কুমিল্লা মহানগরীর ব্যস্ততম এলাকা টমছম ব্রিজ থেকে ইপিজেড ও মেডিকেল কলেজ সড়কটিতে গত কয়েক দিনে ব্যাপক হারে বেড়েছে চুরির ঘটনা। ওই সড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা দোকান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুরি-ছিনতাই  নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা।

এ ছাড়া নগরীর লাকসাম রোড, বাগিচাগাঁও, ধর্মপুর, শাসনগাছা, রেসকোর্স, চর্থা, মনোহরপুর মহিলা কলেজ রোড, কোটবাড়ী রোড, নতুন চৌধুরীপাড়াসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে ইপিজেড সড়কে এক রাতে ৪টা হার্ডওয়্যার ও একটি কনফেকশনারি দোকানের তালা কেটে, শাটার ভেঙে নগদ টাকা ও আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এ রকম প্রায় প্রতিদিনই এই সড়কের দুই পাশের বিভিন্ন দোকান ও প্রতিষ্ঠানে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।

এ ব্যাপারে কয়েকজন ভুক্তভোগী দোকানি জানান, কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলেও নেই কোনো পুলিশ ফাঁড়ি। ট্রাফিক বিভাগের জন্য একটি পুলিশ বক্স থাকলেও সন্ধ্যার পর সেখানে কারো দেখা মেলে না। এই পুলিশ বক্সের ৪০০ গজের মধ্যে গতকাল দিবাগত রাতে বেশ কয়েকটি দোকানে তালা কেটে, শাটার ভেঙে চুরির ঘটনায় ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন ও শংকিত।

এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেন ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতের ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়, সেদিন যে পাঁচটি দোকানে চুরি হয় তার একটির মালিক ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম। তার মডার্ণ ইলেকট্রিক অ্যান্ড লাইট হাউজ দোকানে পাঁচটি তালা কেটে ক্যাশ ভেঙে নগদ ১১-১২ হাজার টাকা এবং আনুমানিক ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র হয়।

ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের দোকান মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজের তালা কেটে ক্যাশ ভেঙে নগদ ৭ হাজার টাকা এবং ৫-৬ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। ব্যবসায়ী নূরে আলম রিপনের দোকান এস আলম হার্ডওয়্যারের পাঁচটি তালা কেটে ক্ষতি সাধন করেছে। ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম নাহিদের জামান স্যানিটারি দোকানের ৩টি তালা কেটে ক্যাশ ভেঙে ৭ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র চুরি হয়। মাহমুদুল হাসান সুজনের আর বি ফুটের তালা কেটে নগদ ৬ হাজার টাকা এবং ১০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে চোরেরা।

এ ছাড়া ৫-৭ দিন আগে ওই সড়কের সামছুর নাহার মেডিসিন কর্ণার, এম এস এম কম্পিউটারসহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে।

ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম ও মোবারক হোসাইন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিত্যদিন এভাবে চুরি চলতে থাকলে আমরা ব্যবসা করব কীভাবে। আমরা এর সমাধান ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া জানান, এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন। নগরীতে চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িতদের  চিহ্নিত করতে তারা কাজ শুরু করেছেন বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/মোআ)