এবার খাতা মূল্যায়নে মডেল উত্তরপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:৫৪ | প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:০৮

পাবলিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে পরীক্ষকদের মডেল উত্তরপত্র দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন নিয়ে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।

ওই বৈঠকে নবম ও দশম শ্রেণির ১২টি পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। আগামী শিক্ষাবর্ষে এই বই শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় খাতা মূল্যায়নে যাতে পরীক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার না হয় সে জন্য শিক্ষামন্ত্রী মডেল উত্তরপত্রের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন থেকে খাতা মূল্যায়নের সময় পরীক্ষকদের মডেল উত্তরপত্র দেয়া হবে।

নাহিদ বলেন, ‘খাতা নেয়ার সময় একটা মডেল উত্তর থাকবে, যেখানে কেমন লিখলে কি রকম নম্বর পাবে তার গাইডলাইন থাকবে। নম্বর বেশি দেন, কম দেন, এ রকম গাইড লাইন দেয়া হচ্ছে না। সঠিকভাবে যেন দেন, সেটা বলা হচ্ছে।’

একই মানের উত্তর লিখে শিক্ষার্থীরা যেন একই ধরনের নম্বর পেতে পারে সে বিষয়েও একটি গাইডলাইন তৈরির কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এই ১২টি বই আরও উন্নত, মার্জিত এবং সহজবোধ্য করে ছেলে মেয়েদের কাছে আমরা পৌঁছাবো। পাঠ্যবই নিয়ে আরেকটা বড় অভিযোগ হলো এটার মান সম্পর্কে। বইগুলো আরও সহজ ভাষায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা আরও সুন্দরভাবে শিখতে পারে বা পড়ে বুঝতে পারে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান ও অর্থনীতির বইয়ের ছবিগুলো চার কালারের করে দেয়ার চেষ্টা করব। চার কালার না হলে বুঝতে সমস্যা হয়। আমরা নম্বরটা দেয়ার ব্যাপারেও একটা গবেষণা করেছি। দেখা যাচ্ছে, দুজন (পরীক্ষক একই উত্তরপত্রে) নম্বর দিচ্ছেন, পার্থক্য অনেক হয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমরা একটা গাইড লাইন তৈরি করেছি।’

পাঠ্যপুস্তকের বোঝা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা-জ্ঞানের প্রতিনিয়তই বিকাশ ঘটছে। আমাদের শিক্ষার একটা মৌলিক পরিবর্তনেও যেতে হবে। আমরা একসঙ্গেই সব পারি, তা না। এটা ধারাবাহিক কাজ। আমরা এটা চালিয়ে যাচ্ছি।’

বিষয়ভিত্তিক কাজ নিয়ে আজকে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পঞ্চম শ্রেণিতে ৫ থেকে ৬টা বই পড়ে। হঠাৎ করেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৩টা বই হয়ে যায়। এটা আমরা চাইলেই কালকে বদলে দিতে পারব না। এর উপর কাজ চলছে। আলাদা কমিটি আছে। কীভাবে এই পর্যায়ে সঠিক জ্ঞান দেয়া যাবে-তারা সে বিষয়ে কাজ করছেন। কীভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝা কমিয়ে আনতে পারি-কমিটি সে বিষয়ে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, ‘আমাদের পরীক্ষা লম্বা হয়ে যায়। অনেক বিষয় বেড়ে গেছে। কমিয়ে আনতে কাজ হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনটা বিষয়ে পাবলিক পরীক্ষা নেব না। এগুলো হচ্ছে পারফরমেন্স ভিত্তিক, ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে এটা করব। শারিরীক শিক্ষা, ড্রয়িং কমিয়ে নিয়ে আসব।’

সভায় অন্যদের মধ্যে মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, মঞ্জুর আহমেদ, রাশেদা কে চৌধুরী, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মোহাম্মদ কায়কোবাদ, মো. আখতারুজ্জামান, এমএম আকাশ, শ্যামলী নাসরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/জেডএ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :