চামড়াশিল্পে আড়াই হাজার কোটি টাকার ক্ষতির দাবি
সাভারের চামড়া শিল্প নগরী পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ট্যানারি মালিকরা। এ জন্য বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনকে (বিসিক) দায়ী করে তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে তাদের।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ এ দাবি করেন।
শাহীন আহমেদ অভিযোগ করেন, হাজারীবাগে সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দেয়া হলেও সাভারে এখনো গ্যাস সংযোগ পায়নি ট্যানারিগুলো। আদালতের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ৮ এপ্রিল ইউটিলিটি বন্ধের পরদিন আদালত ১৫ দিনের মধ্যে সাভারে গ্যাস সংযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। এর মধ্যে দেড় শ কারখানার মালিক গ্যাস সংযোগের আবেদন করলেও পেয়েছেন মাত্র নয়জন। বিসিকের অব্যবস্থাপনা ও দুর্বলতার কারণে আমাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।”
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরো অভিযোগ করেন, সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) ঠিকভাবে কাজ করছে না। ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। তিনটি ক্রোম রিকভারি ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়নি। এসব অব্যবস্থাপনা আর তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে তারা আদালতে যাবেন বলে জানান তিনি।
শাহীন আহমেদ দাবি করেন, হাজারীবাগের ট্যানারি কারখানা বন্ধের পর থেকে বুধবার পর্যন্ত চামড়াশিল্পের মালিকদের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৫০৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার কাজ বাতিল হয়েছে।
পরিবেশ দূষণের কারণে পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) এক রিটের পরিপেক্ষিতে আদালত হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো সাভারে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর বহুবার সময় দেয়ার পরও তারা সরে না গেলে আদালত জরিমানা করে ট্যানারিগুলোকে। তাতেও কাজ না হলেও ট্যানারিতে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ সব ধরনের সেবা বন্ধের নির্দেশ দেন আদালত।
গত ৮ এপ্রিল সরকারি বিভিন্ন সংস্থা তাদের সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে হাজারীবাগের ট্যানারিতে।
(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/মোআ)