‘ধানের পচনেই হাওরে মাছের মড়ক’

বাকৃবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ২০:১০

আগাম অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে অপরিপক্ক ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে পচে যায়। এতে পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে। ফলে হাওরের মাছ মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।

২৪ এপ্রিল বাকৃবি মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের বিশেষজ্ঞ দল সুনামগঞ্জ ও জামালগঞ্জ হাওর পরিদর্শনে যায়। ছয় সদস্যের ‘মাছের মড়ক পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানী টিম’-এর আহবায়ক ছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।

দলের অন্য সদস্যরা হলেন- প্রফেসর ড. এস. এম. রহমত উল্লাহ, প্রফেসর ড. এ. কে. এম. নওশাদ আলম, প্রফেসর ড. মো. আলী রেজা ফারুক, প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান এবং ড. এ. কে. শাকুর আহম্মদ।

তারা ওই এলাকার মাটি, পানি, মাছ ও হাঁস পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা হয়- পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কম ও কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেশি থাকায় পানির অম্লত বৃদ্ধি পায়। এতে কোন অ্যামোনিয়া ও নাইট্রাইটের পাওয়া যায়নি। এতে ১৯ প্রকারের মাছ ও জলজপ্রাণির পোনাও পাওয়া গেছে।

এতে আরো বলা হয়, হাওরের যে অঞ্চলে গভীরতা বেশি সেখানে মাছ কম মারা গেছে। আর যেখানে গভীরতা কম, সেখানে মাছ বেশি পরিমাণে মারা গেছে।

হাঁসের মারা যাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, হাঁসের রক্তের ডিএনএ মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ল্যাবে এনালাইসিস করা হয়। তবে রক্তে কোন বিষাক্ত দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞ দল হাঁসের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাওরের পানিতে ভেসে আসা বিষাক্ত পোকামাকড় খাওয়াকে দায়ী করেন।

এছাড়াও বিশেষজ্ঞ দল হাওরবাসীর বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার কথা তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যায় ধান নষ্ট হওয়ায় এবং মাছ মারা যাওয়ায় হাওরবাসী খাবার সমস্যায় পরবে। তাই হাওরবাসীর সাহায্যের জন্য সরকারসহ বেসরকারি বিভিন্ন দাতব্যপ্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন অনুসন্ধানী টিম।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :