আইপিও আইন পরিবর্তন: বাড়ছে মূলধন উত্তোলনের ন্যূনতম সীমা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:৩২

ফিক্সড প্রাইস ও বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে মূলধন উত্তোলনের ন্যূনতম সীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক, আইপিও-পূর্ব শেয়ারধারী ও বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য লক-ইনের শর্তেও পরিবর্তন আসছে। এর বাইরে বুক বিল্ডিংয়ের বিডিংয়েও পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে চাইলে কোনো কোম্পানিকে সর্বনিম্ন ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে হবে। অর্থাৎ অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে কমপক্ষে তিন কোটি শেয়ার বিক্রি করতে হবে। ফিক্সড প্রাইস (অভিহিত মূল্য) পদ্ধতির ক্ষেত্রে এ শর্ত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে কোনো কোম্পানি বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় (প্রিমিয়ামসহ) বাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে চাইলে কোম্পানিকে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে হবে।

গতকাল বিএসইসির ৬০৩তম কমিশন সভায় আইপিও আইনে বিভিন্ন পরিবর্তনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কমিশন সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক এম সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫-এর সংশোধন প্রস্তাব কিছু পরিবর্তনসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। জনমত যাচাই শেষে আইনের সংশোধনী বাস্তবায়ন করা হবে। জনমত যাচাইয়ে জরিপের জন্য শিগগিরই কমিশনের ওয়েবসাইট ও দৈনিক পত্রিকায় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রকাশ করা হবে।

সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে চাইলে এর ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা হতে হবে এবং শেয়ারবাজারে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়তে হবে। একইভাবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হতে চাইলে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা এবং কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়তে হবে।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (ইলিজিবল ইনভেস্টর) তাদের জন্য নির্ধারিত কোটার সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পরিমাণ শেয়ার বা সিকিউরিটিজ প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। এছাড়া বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিংয়ে সকল যোগ্য বিনিয়োগকারীর আবেদনের পরিমাণের ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে তারা সিকিউরিটিজ বরাদ্দ পাবে।

সূত্র জানায়, পারস্পরিক যোগসাজশে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় শেয়ার নির্ধারণের সুযোগ বন্ধ করতে যতটা কঠোর হওয়া প্রয়োজন, ততটাই কঠোর হয়েছে বিএসইসি। বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা পরিহারের পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে কেউ আইনের দুর্বলতাকে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সংশোধনীতে কোম্পানির স্পন্সর, ডিরেক্টর এবং ১০ শতাংশের অধিক ধারণকৃত শেয়ার হোল্ডারদের শেয়ার তিন বছরের জন্য লক-ইন থাকবে। আর অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারদের ধারণকৃত শেয়ারের উপর এক বছরের লক-ইন থাকবে। পূর্বে শেয়ারবাজারে ৫ শতাংশের অধিক ধারণকৃত শেয়ার হোল্ডারদের শেয়ার ৩ বছরের জন্য লক-ইন ছিল।

বর্তমানে আইনে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সঙ্গে ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণকারীদের জন্য তিন বছরের লক-ইন প্রযোজ্য রয়েছে। এর বাইরে আইপিওতে আসার আগে দুই বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন, এমন বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে এক বছর লক-ইন প্রযোজ্য রয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :