আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফ ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’
আবৃত্তি শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরিফকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। তবে সকাল থেকে কয়েকটি টেলিভিশন মাধ্যম কাজী আরিফের মেয়ে আনুশকার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক থেকে সরাসরি সম্প্রচারে জানিয়েছিল তিনি মারা গেছেন। আমাদের স্থানীয় সংবাদদাতাও একই তথ্য জানিয়েছিলেন।
সর্বশেষ শনিবার দুপুরে কাজী আরিফের মেয়ে আনুশকা জানান, তার বাবা ক্লিনিক্যালি ডেড। আগামীকাল রবিবার তার লাইফ সাপোর্ট খোলা হবে।
দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ কাজী আরিফের হার্টের ভাল্ব অকেজো হলে তাকে ম্যানহাটনের মাউন্ট সিনাই সেন্ট লিওক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার ভাল্ব পুনঃস্থাপন এবং আর্টারিতে বাইপাস সার্জারি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রখ্যাত এই আবৃত্তিশিল্পীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহ্কাম উল্লাহ্ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় চিকিৎসকেরা শিল্পীকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেন। কাল রবিবার নিউইয়র্ক সময় সকাল সাড়ে আটটায় লাইফ সাপোর্ট খুলে চিকিৎসকেরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে মৃত ঘোষণা করবেন।
কাজী আরিফ জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আশির দশকে বাংলাদেশে আবৃত্তিচর্চা এবং আবৃত্তিশিল্পকে আধুনিক সংগঠিত রূপ দিতে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য আবৃত্তির অ্যালবাম ‘পত্রপুট। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন উদ্যোক্তাদের একজন তিনি। সারা দেশ ঘুরে আবৃত্তির প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সংগঠনগুলোতে।
ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/এমআর
মন্তব্য করুন